| |
               

মূল পাতা জাতীয় নিরাপদ সড়কে ভারতের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ : সেতুমন্ত্রী


নিরাপদ সড়কে ভারতের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ : সেতুমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     15 January, 2023     08:51 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিরাপদ সড়কে প্রতিবেশী দেশ ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ ২০২০ সালে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড হেলথ র‌্যাংকিং অনুসারে ১৮৩টি দেশের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হারে বাংলাদেশের অবস্থা ৮৮তম (মৃত্যু হার এক লাখে ১৬ দশমিক ৭৪ জন)। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে ২০২০ সালে নেপাল, শ্রীলংকা, ভুটান ও ভারতের অবস্থান যথাক্রমে ৭২, ৮২, ৮৫ ও ৯০তম। 

আজ (১৫ জানুয়ারি) রবিবার চলমান একাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফ বিভিন্ন গবেষণায় বলা হচ্ছে ‘বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় হার দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ’। এম আব্দুল লতিফ গাড়ি চালকদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা আছে কি না তা সড়ক ও সেতুমন্ত্রীর কাছে জানতে তিনি এসব কথা বলেন। অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সেতুমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কগুলোতে ডিভাইডার বসানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকে পেশাদার মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের সময় ডোপ টেস্ট রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরে কয়েকটি হাসপাতাল এবং অন্যান্য জেলা হাসপাতালে গাড়ি চালকদের ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারী যানবাহনের ড্রাইভারদের লাইসেন্স নবায়নের সময় ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে পরিবহন শ্রমিক ও মালিক সমিতির মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে। গাড়ি চালকদের বিশ্রামের জন্য চারটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে একটি বিশ্রামাগার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বিআরটিএর নির্দেশনা অনুযায়ী বিআরটিসিতে কর্মরত সব চালকের পর্যায়ক্রমে ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সরকারি দলের বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, অনুমোদনবিহীন ইজিবাইক, নসিমন, করিমন নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। নীতিমালা চূড়ান্ত হলে এসব যানের অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এছাড়া, দেশে বর্তমানে (৩১ ডিম্বের ২০২২ পর্যন্ত) বিআরটিএ’র অনুমোদিত (রেজিস্ট্রেশনকৃত) গাড়ির সংখ্যা ৫৫ লাখ ৮২ হাজার ৩১০টি রয়েছে। বর্তমানে বিআরটিএ’র অনুমোদিত (নিবন্ধনকৃত) গাড়ির সংখ্যা ৫৫ লাখ ৮২ হাজার ৩১০টি। বর্তমানে অনুমোদনবিহীন ইজিবাইক, নসিমন, করিমন, ভটভটি প্রভৃতি যানবাহন রাস্তায় চলাচল করছে। এ ধরনের যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নীতিমালার খসড়া তৈরি করা হয়েছে। নীতিমালা চূড়ান্ত হলে এ ধরনের যানের অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।