জামিল আহমদ 17 December, 2022 06:44 PM
কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহারসহ ৭ দফা দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে হেফাজতে ইসলাম বাংলাশের নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (১৭ ডিসেম্বর) শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৩টার দিকে হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গণভবনে প্রবেশ করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন, হেফাজতের নায়েবে আমীর আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা আবদুল আউয়াল, মুফতি জসিম উদ্দীন, মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরিস, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী ও সাধারণ সম্পাদক মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আযহারী প্রমুখ।
হেফাজতে ইসলামের প্রধানমন্ত্রীর সাথে হেফাজত নেতাদের আলোচনা হয়। হেফাজতের সাত দফা দাবি হলো- ১. অবিলম্বে হেফাজত নেতাকর্মী ও আলেম-উলামাদের মুক্তি দিতে হবে। ২. হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ৩. ইসলাম ও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে। ৪. কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। ৫. শিক্ষা কারিকুলামে ধর্ম শিক্ষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। ৬. জাতীয় শিক্ষা কমিশনে হাইয়াতুল উলইয়ার প্রতিনিধি থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং ৭. বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সা’দকে আসার অনুমতি দেয়া যাবে না।
এর আগে, আজ (১৭ ডিসেম্বর) শনিবার সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার গুলিস্তানস্থ কাজী বশির মিলনায়তনে শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক ঘোষিত ১৩ দফা দাবি আদায়, কারাবন্দী হেফাজত নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও হেফাজতের নামে ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত হওয়া সব মামলা প্রত্যাহার ও জাতীয় শিক্ষানীতিতে ধর্মীয় শিক্ষা সঙ্কোচনের প্রতিবাদ, পাবলিক পরীক্ষায় ধর্ম বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা এবং জাতীয় শিক্ষা কমিশনে হক্কানি আলেম প্রতিনিধি রাখার দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাশের উদ্যোগে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সরকারের কাছে এ সাত দফা দাবি পেশ করা হয়। এছাড়া হেফাজতে ইসলামের পরবর্তী কর্মসূচী বিষয়ে সম্মেলনে জানানো হয়, অনতিবিলম্বে হেফাজতের জেলা-উপজেলা কমিটি পূনর্গঠন করা হবে। জেলায় জেলায় শানে রিসালাত সম্মেলন করা হবে। তাছাড়া ঢাকায় জাতীয় শানে রিসালাত সম্মেলন করা হবে।
হেফাজতের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরিস ও প্রচার সম্পাদক মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আযহারীর যৌথ সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা শায়খ সাজিদুর রহমান, নায়েবে আমীর আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা আবদুল আউয়াল, দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মুফতী জসিম উদ্দিন, মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী, মাওলানা আবদুল বাছির, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী ময়মনসিংহ, বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা আনোয়ারুল করীম যশোরী, মুফতী হাবিবু রহমান কাসেমী, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, মুফতী মোবারক উল্লাহ, মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ, নায়েবে আমীর মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি আতাউল্লাহ আমিন, হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির সহকারী মহাসচিব মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মুফতী হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, মাওলানা শাব্বির আহমদ রশিদ, মাওলানা আব্দুল বাসেত খান, সদ্য কারামুক্ত মুফতি ফখরুল ইসলাম, মুফতি আবদুর রহীম কাসেমী, জামিয়া নূরিয়ার শিক্ষক মুফতি সুলতান মুহিউদ্দন, মাওলানা শওকত হোসাইন সরকার, মাওলানা মাসুদুল করীম, মাওলানা ফয়সাল, মুফতী ইলিয়াস হামিদী, মাওলানা মুসতাকিম বিল্লাহ হামিদী, মাওলানা গাজী ইয়াকুব উসমানী, মাওলানা খালেদ বিন নূর প্রমুখ।