| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশ-আ’লীগের লুটপাটের অভিযোগ


বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশ-আ’লীগের লুটপাটের অভিযোগ


রহমত নিউজ     12 December, 2022     03:44 PM    


নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গত ৭ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের পেটুয়া বাহিনী ভাঙচুর করার পাশাপাশি কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফাইলপত্র, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রসহ টাকা লুটপাঠ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ বলেছেন, বিজয়ের মাসে কিভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনী তছনছ করেছে। লুটপাট করেছে। নগ্নভাবে সন্ত্রাস করেছে। নজরিবহীন কর্মকাণ্ড করেছে। কার্যালয়ে প্রথম ফ্লোরে আমাদের চেয়ারপারসনের অফিস। সেটি বন্ধ থাকে। কিন্তু আপনারা দেখেছেন সেটির দরজা ভেঙে কিভাবে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। তৃতীয় তলায়ও তছনছ করেছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন উপকরণ কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফাইলপত্র, নথিপত্র সব নিয়ে গেছে।

আজ (১২ ডিসেম্বর) সোমবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ। এর আগে দলের স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের নিয়ে কার্যালয়ের বিভিন্ন ফ্লোর ঘুরে দেখেন খন্দকার মোশাররফ। সংবাদ সম্মেলন থেকে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংর্ঘষের ঘটনায় নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী মুকবুল হোসেনর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, চতুর্থতলার আমাদের ছাত্র সংগঠনগুলোর অফিসেও ভাঙচুর করেছে। সেখানে থেকেও কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফাইলপত্র, নথিপত্র সব নিয়ে গেছে। অ্যাকাউন্টস অফিস থেকেও সব লুটপাট করে নিয়ে গেছে। বিএনপির কার্যালয়ে ৬ তলায় একটি লাইব্রেরি আছে। সেটিও তাদের বর্বরতা থেকে রক্ষা পায়নি। জিয়াউর রহমানের মুরাল পর্যন্ত ভেঙে ফেলেছে। ৭ ডিসেম্বর পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়েছে, যেভাবে হামলা চালিয়েছে তা বিশ্বে নজিরবিহীন। নিন্দা করার ভাষা নাই। অফিস থেকে সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে। ৪ শতাধিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্য ছিল ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বানচাল করা। মধ্যমপন্থি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি তাদের কর্মসূচি করেছে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির বিভাগীয় প্রতিটি সমাবেশে সরকার বাধা দিয়েছে, সরকার কিসের ভিত্তিতে এই ঘটনা ঘটালো তা আমাদের হিসাবে মেলে না। তাদের হিসাবে খেলা, কিন্তু বিএনপি এই খেলায় বিশ্বাস করে না। জনগণ বিক্ষুব্ধ, জনগণ রায় দিয়েছে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় আনা আওয়ামী লীগের পক্ষে সম্ভব না। জনগণ এই সরকারকে আর চায় না। ৭ ডিসেম্বরের সরকারের আচরণ প্রমাণ করে তারা গায়ের জোরের সরকার, আমরা ১০ দফা দিয়েছি। এই ১০ দফাকে সমর্থন করে যারা যুগপৎ আন্দোলন করবে তারাও কর্মসূচি দিয়েছে। নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ১৩ ডিসেম্বর নয়াপল্টন অফিসের সামনে থেকে গণমিছিল করবে বিএনপি। গতকাল আমরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসতে পেরেছি। কার্যালেয় থেকে কী কী খোয়া গেছে তার তালিকা করছি। তারপর সিদ্ধান্ত নেব কী করবো।