রহমত নিউজ ডেস্ক 08 December, 2022 07:52 PM
একাদশ জাতীয় সংদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক রক্ত দিয়ে গড়া। আমাদের মধ্যকার এই সম্পর্কে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চ্যালেঞ্জ আসবে। আমাদের দেশে যেমন চ্যালেঞ্জ আসবে, তেমনি তাদের দেশেও চ্যালেঞ্জ আসবে। আমাদের বন্ধুত্ব যেন নষ্ট না হয় সেজন্য নিজেদের কিছু ত্যাগ করে হলেও এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, দুই দেশের নাগরিক এবং সরকারকে বিবেচনায় রেখে রাষ্ট্র পরিচালনা করে সম্পর্কের নার্সিং করতে হবে।
আজ (৮ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকা গ্যালারি মিলনায়তনে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস উপলক্ষে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত মিট দ্যা সোসাইটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, লে কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, রবীন্দ্র ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য পবিত্র সরকার প্রমুখ।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, আন্তর্জাতিক বিশ্বে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে, রাজনৈতিক দিক দিয়ে এ উপমহাদেশে টিকে থাকতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি সৃষ্টি করতে হবে। দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। আর এটা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে। বিশ্ব শান্তির লক্ষ্যে, আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্নে, বাঙালি জাতির অস্তিত্বের প্রশ্নে, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এবং অর্থনীতির বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ শক্তি ছাড়া কিন্তু আমাদের কোনো পথ নেই। একটি চক্র দুদেশের সম্পর্কের বিরোধীতায় এখনও সক্রিয়, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নষ্ট করতে বিভিন্ন কাজ চলছে। বিরোধীতাও আছে। একটা চক্র আছে, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিল রাজাকার-আলবদর-আল শামস এবং জামায়েতে ইসলাম। এখনও তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়নি। এখনও তাদের অস্তিত্ব আমরা টের পাই।
টুকু আরো বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে; যারা ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছিল। সেই শক্তিকে আমরা এখনও দেখতে পাই। আমরা এই শক্তিকে নিস্তেজ-নিঃশেষ করতে হলে আমাদের উপমহাদেশের রাজনীতিকে একটা স্বচ্ছতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ শক্তি তৈরি করা দরকার। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ধীরে ধীরে আরও উন্নত হচ্ছে, আমি যদি আশ্রয় ও ট্রেনিং না পেতাম, তাহলে তো আমি এদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখতে পারতাম না।