| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক এশিয়া 'করোনার সময় ভারতে ধর্মীয় কারণে সংখ্যালঘুদের নিশানা করা হয়েছে'


'করোনার সময় ভারতে ধর্মীয় কারণে সংখ্যালঘুদের নিশানা করা হয়েছে'


আন্তর্জাতিক ডেস্ক     02 December, 2022     08:18 PM    


ওয়াশিংটনভিত্তিক জনমত জরিপ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'পিউ রিসার্চ সেন্টার' একটি জরিপে বলেছে, করোনার সময় ভারতে ধর্মীয় কারণে সংখ্যালঘুদের সবচেয়ে বেশি নিশানা করা হয়েছিল। ওই জরিপে সামাজিক প্রতিকূলতা সূচকে (এসএইচআই) সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স করা দেশের তালিকায় ভারতকে এক নম্বরে রাখা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে ভারত বিশ্বের দেশগুলোর শীর্ষে ছিল যেখানে মহামারীর আড়ালে সংখ্যালঘুদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। এ জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক প্রচারণাও চালানো হয়েছিল।

মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্কের গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনা মহামারীর সময় বিভিন্ন ধরনের হ্যাশট্যাগ চালিয়ে সংখ্যালঘুদের নিশানা করা হয়েছিল। যার মধ্যে 'করোনা জিহাদ'-এর মত হ্যাশট্যাগ রয়েছে। মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্কের জরিপে মোট ১৯৮টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স ছিল ভারতের। জরিপে এমন ১১টি দেশকে আলাদা করা হয়েছে যারা সামাজিক প্রতিকূলতা সূচকে সবচেয়ে খারাপ পারফর্ম করেছে। এতে ভারতকে নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান, ইসরায়েল, মালি, সোমালিয়া ও পাকিস্তানের পরে দেখানো হয়েছে। মিশর, লিবিয়া ও সিরিয়ার মতো দেশও ওই তালিকায় রয়েছে। তালিকায় প্রথম র‍্যাঙ্কিং মানে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স। 

পিউ রিসার্চ সেন্টার তাদের জরিপে বলেছে, ভারতের এসএইচআই র‍্যাঙ্কিং আগে থেকেই খারাপ ছিল। ২০১৯ সালে ভারতে যখন নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছিল, ভারত তখনও সূচকের খুব উচ্চ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত ছিল। 

সম্প্রতি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে যখন করোনা মহামারী নিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, তখন সারা বিশ্বে কীভাবে ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে নিশানা করা হয়েছিল। করোনার শুরুতে রাজধানী দিল্লিতে তাবলিগ জামাত নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তাও এতে যুক্ত করা হয়েছে। যেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলামোফোবিক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছিল এবং মুসলমানদেরকে করোনা ছড়ানোর জন্য দায়ী বলে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। 

-পার্সটুডে