রহমত নিউজ ডেস্ক 30 November, 2022 08:17 PM
পেশাদার সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউর কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে সভাপতি পদে মোরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক পদে মাইনুল হাসান সোহেল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জিটিভির সিনিয়র রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ (৩০ নভেম্বর) বুধবার সন্ধ্যায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনজুরুল আহসান বুলবুল। এর আগে, ডিআরইউর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ করা হয়।। এবারের নির্বাচনে ২০টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ৪৩ জন। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুলসহ আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া আরো কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক তাকে সহযোগিতা করবেন।
অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন, সহ-সভাপতি দিপু সারোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক মঈনুল হাসান, অর্থ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, দপ্তর সম্পাদক কাউসার আজম, নারী সম্পাদক মরিয়ম মনি, প্রচার সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন, তথ্য প্রযুক্তি তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ক্রিড়া মাহবুবুল আলম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজান চৌধুরী, কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ। সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন- মনির মিল্লাত, ইসমাইল হোসেন, মহসিন চৌধুরী, মোজাম্মেল হক তুহিন, কিরন শেখ, আলী ইব্রাহিম।
সভাপতির পদে প্রার্থী ছিলেন তিন জন । তারা হলেন— বর্তমান সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু [প্রাপ্ত ভোট ২৬৪], সাবেক সভাপতি মুরসালীন নোমানী [প্রাপ্ত ভোট ৬৩৫] ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান [প্রাপ্ত ভোট ৫৪৩]।
সহ-সভাপতি পদের প্রার্থী ছিলেন দুই জন। এরা হলেন- দীপু সারোয়ার [প্রাপ্ত ভোট ৮২৩] ও সাবেক সহ-সভাপতি গ্যালমান শফি [প্রাপ্ত ভোট ৫৯১]।
সাধারণ সম্পাদকের পদের জন্য প্রার্থী রয়েছেন ছয়জন। তারা হলেন— সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল বারী [প্রাপ্ত ভোট ৫৫], সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আরাফাত দাড়িয়া [প্রাপ্ত ভোট ৭২], সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জামিউল আহসান সিপু [প্রাপ্ত ভোট ২৪৭], সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন (শেখ জামিল) ভোট পেয়েছেন ২৬০, মাইনুল হাসান সোহেল[প্রাপ্ত ভোট ৪২২] ও সাবেক এক নম্বর সদস্য মহিউদ্দিন [প্রাপ্ত ভোট ৩৬৩]।
যুগ্ম সম্পাদকের পদে প্রার্থী ছিলেন পাঁচ জন। তারা হলেন— ফারুক খান ভোট পেয়েছেন ২৮৬, কামাল মোশারেফ [প্রাপ্ত ভোট ১৫২], মঈনুল আহসান[প্রাপ্ত ভোট ৫০৮], নয়ন মুরাদ [প্রাপ্ত ভোট ২০৮] ও পবন আহমেদ [প্রাপ্ত ভোট ২৪৪]।
সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে প্রার্থী ছিলেন দুই জন। আবদুল হাই তুহিন [প্রাপ্ত ভোট ৫২৩] ও সাইফুল ইসলাম[প্রাপ্ত ভোট ৮৭৮]।
দপ্তর সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন দুই জন। কাওসার আজম[প্রাপ্ত ভোট ৮০৬] ও রফিক রাফি [প্রাপ্ত ভোট ৫৫৮]।
অর্থ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন দুই জন। মো. জাকির হোসাইন [প্রাপ্ত ভোট ৫৮৩] ও সাখাওয়াত হোসেন সুমন [প্রাপ্ত ভোট ৭১২]।
নারীবিষয়ক সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন দুই জন। মরিয়ম মনি (সেঁজুতি) [প্রাপ্ত ভোট ৭৪১] ও রোজিনা রোজী [প্রাপ্ত ভোট ৬৪৭]।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন দুই জন। কামাল উদ্দিন সুমন[প্রাপ্ত ভোট ৭৩১] ও মেজবাহ উল্লাহ শিমুল [প্রাপ্ত ভোট ৫৫৭]।
তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন দুই জন। মো. রাশিম (রাশিম মোল্লা) [প্রাপ্ত ভোট ৫৫৮] ও তোফাজ্জল হোসেন রুবেল [প্রাপ্ত ভোট ৯৭২]।
ক্রীড়া সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন দুই জন। মাহবুবুর রহমান [প্রাপ্ত ভোট ৭২০] ও রকিবুল ইসলাম মানিক [প্রাপ্ত ভোট ৬১২]।
সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন দুই জন। মো. শাহাবুদ্দিন মাহতাব [প্রাপ্ত ভোট ৫৬৯] ও মিজান চৌধুরী [প্রাপ্ত ভোট ৭৩৮]।
আপ্যায়ন সম্পাদক পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দিতা নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন।
কল্যাণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন দুই জন। জাহাঙ্গীর কিরণ [প্রাপ্ত ভোট ৬২৫ ] ও তানভীর আহমেদ [প্রাপ্ত ভোট ৬৬৪]।
কার্যনির্বাহী সদস্যের সাতটি পদের জন্য প্রার্থী রয়েছেন নয়জন। তারা হলেন- ইসমাঈল হোসাইন রাসেল (রাসেল আহমেদ) [প্রাপ্ত ভোট ৭৭২], মনিরুল ইসলাম মিল্লাত (মনির মিল্লাত) [প্রাপ্ত ভোট ৯৩০], মোজাম্মেল হক তুহিন [প্রাপ্ত ভোট ৬৮৩], কিরণ সেখ [প্রাপ্ত ভোট ৬৭২], মহসিন বেপারী [প্রাপ্ত ভোট ৭৫১], মো. ইব্রাহিম আলী (আলী ইব্রাহিম) [প্রাপ্ত ভোট ৬৩৪], এস এম মোস্তাফিজুর রহমান (সুমন) [প্রাপ্ত ভোট ৬৪৮] মো. ফারুক আলম [প্রাপ্ত ভোট ৫৮৩] ও মো. শরীফুল ইসলাম [প্রাপ্ত ভোট ৪৫৩] ।