রহমত নিউজ ডেস্ক 29 November, 2022 04:27 PM
বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেছেন, ফিলিস্তিনের দূরাবস্থার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে বৃহৎ শক্তিগুলোর কাছে জাতিসংঘ অসহায়। ফিলিস্তিনের এমন অবস্থার জন্য আমেরিকা দায়ী। একই সঙ্গে বৃহৎ শক্তিগুলোর কাছে জাতিসংঘ অসহায়। মানুষের ন্যায্য অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সবকিছু প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাতিসংঘের সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক বড় বড় শক্তির কাছে মনে হচ্ছে জাতিসংঘ এক প্রকার অসহায়। জাতিসংঘকে এই অসহায়ত্ব দূর করে একটি কার্যকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়াতে হবে।
আজ (২৯ নভেম্বর) মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ আয়োজিত ‘প্যালেস্টাইনের জনগণের সাথে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খান, সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী, সিপিবির সভাপতি কমরেড মো. শাহ আলম, জাসদ সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, সাবেক এমপি হারুনুর রশীদ প্রমুখ।
ফিলিস্তিনের শিশুদের দূরাবস্থার বিষয়ে পল্টু বলেন, ফিলিস্তিনী শিশুরা জন্ম থেকেই দেখছে চোখের সামনে তাদের বাবা-মাকে হত্যা করা হচ্ছে। তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। এই নির্মমতা আপনাদের উপলব্ধি করতে হবে। তাই আন্তর্জাতিক মহল এই দিনটাকে ফিলিস্তিনী জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ফিলিস্তিন দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। আমরা মাত্র ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ করেছি, সেখানে পাকিস্তানিদের নির্যাতনে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আজকে তারা বছরের পর বছর এই মুক্তির আন্দোলন করে আসছে। জীবন দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনীরা অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম করছে। ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি ফিলিস্তিনীদের দুঃখ-দুর্দশার অবস্থা আজকে বহাল আছে। তারা কোনো আধিপত্যের জন্য সংগ্রাম করেনি। তারা অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম করছে। আজকে তাদের নিজস্ব আবাসভূমিতে তারা প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। মার্কিনপন্থী ইসরায়েলিরা তাদের ওপর হামলা করছে। বিভিন্ন ভাবে হত্যা করছে। আর ফিলিস্তিনবাসীর হাতে একমাত্র ঢিল ছাড়া আর কিছু নেই।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, পৃথিবীর সব থেকে বড় সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। একটা বিষয় আমাদের বুঝতে হবে যে ফিলিস্তিনের সংগ্রাম শুধুমাত্র মুসলমান এবং ইহুদিদের সংগ্রাম নয়। এটা সাম্রাজ্যবাদী সংগ্রাম। আর এই সাম্রাজ্যবাদীরা পুরো পৃথিবীতে তাদের লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করছে। আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন সমগ্র বিশ্বে তারা বিভিন্ন যায়গায় বিভিন্ন রূপে কাজ করছে। পৃথিবী থেকে সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস করতে হবে, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। শুধুমাত্র একটি দেশকে নিয়ে আন্দোলন করলে আমরা কতটুকু সফল হতে পারব তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। মোট কথা পুরো পৃথিবী থেকে সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস করতে হবে। এই সাম্রাজ্যবাদীরা যেভাবে সামনে এগুতে চায় তাদেরকে আর এগোতে দেওয়া যাবে না৷