ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে : সেতুমন্ত্রী

জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভাপতি, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এখন থেকে ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে। আগামীকাল থেকে যারা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন তারা ঘরে বসেই আবেদন করতে পারবেন। শুধুমাত্র একবার তাকে পরীক্ষার জন্য বিআরটিএর কার্যালয়ে আসতে হবে।

আজ (১৫ নভেম্বর) মঙ্গলবার বিআরটিএর সদর কার্যালয়ের জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৯তম সভা শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, সড়ক পরিবহন সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সংসদ সদস্য শাজাহান খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন-ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান প্রমুখ।

সেতুমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করার চেয়ে নিয়ন্ত্রণটা কীভাবে করা যায়, আমরা সে ব্যাপারে গুরুত্ব বেশি দিচ্ছি। জনবহুল এ দেশে এটি বহু বেকারের কর্মসংস্থান। এ বিষয়ে নীতিমালা করার কথা আমরা অলরেডি বলেছি, নীতিমালা হচ্ছে। মহাসড়কগুলোতে আমরা অতটা ক্লোজলি মনিটরিং করতে পারব না। বাস্তব ইমপ্লিমেন্টটা আমাদের দেখতে হবে। আগেই বলে রেখেছি জনবল নেই। তারপরও আমাদের মনিটরিং চলছে। এটা চলমান আছে। মহাসড়কের যে পরিমাণ চাপ সে তুলনায় বিআরটিএ ও হাইওয়ে পুলিশের জনবল বাড়েনি। আমরা চেষ্টায় আছি, জনবল বাড়াতে পারলে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।

তিনি আরো বলেন,  আমরা ঠিক করেছি ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-সিলেট এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম এই মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল ক্লোজলি মনিটরিং করব। যেহেতু হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা আছে মহাসড়কগুলোতে এসব তিন চাকার যানবাহন চলাচল করতে পারবে না, তাই আমরা এই পাঁচ মহাসড়কে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ৪ হাজার ৮০ কোটি টাকার একটি লোনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, রোড সেফটি বিষয়ে আমরা একটি প্রজেক্ট দেখছি বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায়। এই প্রজেক্টটির ডিডিপিও প্রস্তুত। শিগগিরই একনেক সভায় যাবে। একনেকে এলে তারপর আমরা ইমপ্লিমেন্টে যাব। কারণ রোড সেফটি আমাদের খুবই প্রয়োজন।