রহমত নিউজ ডেস্ক 14 November, 2022 09:14 AM
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর—এই দুটি লক্ষ্য নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলতে চায় গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের নেতারা বলছেন, এমন একটি শাসনকাঠামো তৈরি করতে হবে, যাতে নতুন করে কোনো স্বৈরাচারের জন্ম না হয়।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসভবনে গণতন্ত্র মঞ্চের এক সভায় মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। সন্ধ্যায় গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষে নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজকের সভায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের অংশ হিসেবে ১৫ নভেম্বর বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় শহীদ মিনার চত্বরে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।
সভায় নেতারা বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ বেশ কিছু লক্ষ্য নিয়ে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সেগুলো হলো ‘অবৈধ’ ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, সাংবিধানিক, শাসনতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর। এসব কর্মসূচির ভিত্তিতে সব বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলতে চায় মঞ্চ। সেই ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা ও আগামী দিনের আন্দোলনের বিষয়ে বিএনপিসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ জাসদ ও গণফোরামের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট সাতটি দল নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ তৈরি করা হয়। এই সাতটি দল হলো জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, নাগরিক অধিকার পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।