‘উগ্রপন্থি’ নেতানিয়াহু শান্তিতে বিশ্বাস করেন না : মাহমুদ আব্বাস

মধ্যপ্রাচ্যের বিরোধপূর্ণ দেশ ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ‘উগ্রপন্থি’ বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ‘শান্তিতে বিশ্বাস করেন না।’ কিন্তু যেহেতু নেতানিয়াহু আবারও প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তাই তার সঙ্গে বাধ্য হয়ে কাজ করতে হবে। খবর আল আরাবিয়ার।

ফিলিস্তিন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। গত শুক্রবার ফিলিস্তিন টিভিতে প্রকাশিত মাহমুদ আব্বাসের সাক্ষাৎকারটি ধারণ করা হয়। এটি ফিলিস্তিন ছাড়াও মিসরের টিভিতে প্রচারিত হয়। অবৈধ দখলদার ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনা ২০১৪ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে।

গত ১ নভেম্বর  টানা কয়েক বছরের রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর অনুষ্ঠিত হওয়া অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে নেতানিয়াহুর জোট। এতে জোট প্রধান হিসেবে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। মাহমুদ আব্বাস বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃত হলেও তার ক্ষমতা অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের দখলকৃত ওয়েস্ট ব্যাংক পর্যন্ত সীমিত। 

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ‘আমি নেতানিয়াহুকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি, ১৯৯০ সাল থেকে…তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি শান্তিতে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু আমার অন্য কোনো উপায় নেই, তার সঙ্গেই কাজ করতে হবে। অবৈধ দখলদার ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে চলা কয়েক যুগের দ্বন্দ্ব নিরসনে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছাতে হবে। আমার অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে একটি সমস্যা আছে। অবৈধ দখলদার ইসরায়েল আমার জমি ও আমার দেশ দখল করে আছে। কে প্রধানমন্ত্রী? নেতানিয়াহু। মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে কাজ করতে আমি বাধ্য হয়েছি।

এদিকে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার সর্বশেষ মেয়াদে আরব বিশ্বের চার দেশ মরক্কো, সুদান, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। রোববার নেতানিয়াহু বলেছেন, আরব বিশ্বের আরও দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে চান তিনি। তার দাবি, এটি অবৈধ দখলদার ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে সহায়ক হবে।