| |
               

মূল পাতা সারাদেশ রাজধানী রাজধানীতে শরীফকে দুদকের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সমাবেশ


রাজধানীতে শরীফকে দুদকের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সমাবেশ


রহমত নিউজ     09 November, 2022     08:42 PM    


দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের উপ-সহকারী পরিচালকের পদ থেকে চাকরিচ্যুত করা শরীফ উদ্দিনকে ওই চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে দুর্নীতিবিরোধী যুবসমাজের সমাবেশ হয়েছে। আজ (৯ নভেম্বর) বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই সমাবেশ হয়। আবির আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, হাসান আল মামুন, রাশেদ খান, আবু হানিফ, ফারুক হাসান, নাদিম হাসান, আবদুর রহমান, মাহফুজুর রহমান, তারেক রহমান প্রমুখ।

সমাবেশে শরীফ উদ্দিনের স্কুলবন্ধু জাভেদ হোসেন বলেন, ছোট থেকে সে ছিল সৎ ও মেধাবী। বুদ্ধি দিয়ে রাঘববোয়ালদের ধরেছে। এটাই তার অপরাধ। অসত্যের সঙ্গে আপস করেনি, এটাই তার অপরাধ। তার সততার কারণেই তার আজ এ অবস্থা। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই। শরীফ উদ্দিনকে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি দলনিরপেক্ষ আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক বলেন, শরীফ উদ্দিনকে কেন বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো তা আমাদের জানাতে হবে। শরীফ উদ্দিনকে পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এই নভেম্বর থেকে যেই আমলারা জনগণের পক্ষ নেবেন, তাঁদের কোনো ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণ আমরা দেব। কখনো ক্ষমতায় এলে আইন পাস করা হবে যে ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। দুর্নীতির টাকা সবাই ভাগ–বাঁটোয়ারা করে খাচ্ছে। যারা দুর্নীতি করছে, তাদের বিচার হবে, সে জন্য জনগণ তৈরি হচ্ছে। তাদের ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে পথে বের হতে হবে। সময় থাকতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। আওয়ামী লীগ সরকার বলছে, খেলা হবে। কিসের খেলা হবে? রাজনীতিকে আপনারা খেলা বানিয়ে দিয়েছেন, খেলা হবে মানে তাদের কাছে ক্ষমতা প্রদর্শন আর ক্ষমতার অপব্যবহার।

গত বছরের ১৬ জুন শরীফ উদ্দিনকে চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়। এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরিচ্যুতির কোনো কারণ উল্লেখ করেনি কর্তৃপক্ষ। তিনি ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই আদেশ প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন করেন। তবে তাঁর আবেদন কমিশনের কাছে বিবেচিত হয়নি। শরীফকে চাকরিতে পুনর্বহাল চেয়ে এক আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। সেটির এখনো শুনানি হয়নি। দীর্ঘ সময় চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন শরীফ। তিনি কক্সবাজারে ৭২টি প্রকল্পে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি, কিছু রোহিঙ্গার এনআইডি ও পাসপোর্ট জালিয়াতি, কর্ণফুলী গ্যাসে অনিয়মসহ বেশ কিছু দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি মামলা করেন।

চাকরি হারিয়ে শরীফ উদ্দিন এখন চট্টগ্রামে বড় ভাইয়ের কনফেকশনারি দোকানে চাকরি করছেন। গতকাল প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে শরীফ উদ্দিনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, কক্সবাজারে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে দুর্নীতি, রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন দুর্নীতির মামলা দায়ের ও তদন্ত করে দুর্নীতিবাজদের রোষানলে পড়েন তিনি। অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয় তাঁকে। চাকরি ফিরে পাওয়ার আবেদন করলেও তা হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় চাকরির চেষ্টা করলেও প্রভাবশালীদের বাধার মুখে হচ্ছে না। সে কারণে বাধ্য হয়ে বড় ভাইয়ের দোকানে চাকরি করছেন। সাড়ে সাত বছরের চাকরিজীবনের প্রথম ছয় বছরই বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে (এসিআর) শরীফ উদ্দিনকে দুদকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ‘অতি উত্তম’ হিসেবে মূল্যায়ন করেন। তাঁকে তদন্তকাজে ‘অভিজ্ঞ’ এবং ‘উদ্যমী ও দক্ষ কর্মকর্তা’ হিসেবে উল্লেখ করে দুদক। শরীফ ২০১১ সালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন পাস করেন। ২০১৪ সালে তিনি দুদকে যোগদান করেন।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা ঢাকা