| |
               

মূল পাতা সারাদেশ রাজধানী জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করাসহ ৮ দফা দাবি


জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করাসহ ৮ দফা দাবি


রহমত নিউজ     09 November, 2022     08:18 PM    


জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় নগরের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কম মূল্যে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়ে নগরে আসা দরিদ্র মানুষের তালিকা তৈরি করে তাদের সামগ্রিক ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব সরকারি প্রতিবেদনে নথিবদ্ধ করা ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করাসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে বস্তিবাসী অধিকার সুরক্ষা কমিটি।

দাবিগুলো হচ্ছে, নগর দরিদ্রদের এলাকায় পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থা, বর্জ্য থেকে সম্পদ রূপান্তরের কর্মসূচি গ্রহণ করা; পরিকল্পিত নগর কৃষির আওতায় নগর বস্তি ও নগর দরিদ্রদের যুক্ত করতে হবে। নগর বস্তি এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী নিরাপদ বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখতে পারে আর এজন্য বহুমুখী সহযোগিতা ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা; নগরের নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য বিনামূল্যে নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা; নগরের নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পয়োনিষ্কাশন এবং বজ্র ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা; দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবিলায় নগর দরিদ্রদের জন্য বিশেষ ঝুঁকি ভাতা, প্রণোদনা, প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং কাউকে পেছনে ফেলে নয়, 'সকলের জন্য বাসযোগ্য নগর' এই নীতিতে পরিকল্পিত সবার জন্য বাসযোগ্য নগর গড়ে তোলা।

আজ (৯ নভেম্বর) বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বস্তিবাসী অধিকার সুরক্ষা কমিটি আয়োজিত ‘জলবায়ু সম্মেলন, নগর দারিদ্র ও সংকট বিষয়ক নাগরিক সংলাপ’ থেকে এসব দাবি জানানো হয়। বস্তিবাসী অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপতি হোসনে আরা বেগম রাফেজার সভাপতিত্বে ও বারসিক পরিচালক পাভেল পার্থের সঞ্চালনায় সংলাপে বক্তব্য রাখেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, আওয়ামী বাস্তুহারা লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ হাওলাদার এবং নোঙর বাংলাদেশের সভাপতি সুমন শামস।

সংলাপে বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. নীলোপল অদ্রি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষ গ্রাম থেকে শহরে চলে আসছে এবং নগরে এসেও তারা জলবায়ু নেতিবাচক প্রভাবের শিকার হচ্ছে। আগামীতে আরও মানুষ গ্রাম থেকে শহরে আসবে। এটা মোকাবিলার করার জন্য নিকটবর্তী শহর ও নগরগুলোতে তাদের থাকা এবং কাজের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারকে আগাম উদ্যোগ নিতে হবে।

ডিয়াকোনিয়া বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর খোদেজা সুলতানা লোপা বলেন, জলবায়ু সংকটের কারণে নারী-পুরুষের বৈষম্য বাড়ছে। নারীদের উপর কাজের চাপ অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে। এই অবস্থার জন্য আমরা দায়ী না হলেও এর জন্য আমাদের মতো দেশের মানুষদের ভোগ করতে হচ্ছে। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য যারা দায়ী তাদের আরও বেশি দায়িত্বশীল আচরণ করা দরকার।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন পবার সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান বলেন, গত ২৬টি জলবায়ু সম্মেলন হয়েছে, সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনো অগ্রগতি আমরা দেখতে পাচ্ছি না। জলবায়ু সম্মেলনের নামে যে পরিমাণ টাকা খরচ হচ্ছে তার ফলাফল কিছুই আসছে না। ফলে বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে দরিদ্র জনগোষ্ঠী উপর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।

 


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা ঢাকা