রহমত নিউজ 23 October, 2022 09:43 PM
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং' মোকাবিলায় সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। লঘুচাপ সৃষ্টির পর থেকেই আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পূর্বাভাস কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোকে আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আমাদের ভার্চুয়ালি মিটিং হয়েছে। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং হয়েছে। সিপিপিকে (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) প্রস্তুতি গ্রহণ ও সতর্কবার্তা প্রচারের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা পর্যায়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো আমরা প্রস্তুত রাখতে বলেছি। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে।
আজ (২৩ অক্টোবর) রবিবার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভার আগে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল হক, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম রওশন আরা, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)'র পরিচালক আহমেদুল হক এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি আজ সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এ রূপ নিতে পারে। এটি সোমবার দিবাগত গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ২০ অক্টোবর সৃষ্ট লঘুচাপটি রোববার দুপুরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। যদি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়, তাহলে এর নাম হবে- সিত্রাং। এটি আরও এগিয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নিতে পারে। উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নিলে এটি কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত প্রতিটি জেলাতেই আঘাত হানবে। সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আগামিকাল সোমবার দিবাগত রাত থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নিলে ৭৩০ কিলোমিটার বিস্তৃত ১৯টি উপকূলীয় জেলায় আঘাত হানতে পারে। উপকূলের আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতি প্রতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার থাকতে পারে।