| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি আন্দোলনের তরঙ্গে  আ‘লীগ ভেসে যাবে : মির্জা ফখরুল


আন্দোলনের তরঙ্গে  আ‘লীগ ভেসে যাবে : মির্জা ফখরুল


রহমত নিউজ     15 October, 2022     09:12 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুর্নীতি-সন্ত্রাস, চুরি-ডাকাতি আওয়ামী লীগের মজ্জাগত ও প্রকৃতিগত। দুটি জিনিস আওয়ামী লীগের নেতাদের বডি ক্যামিস্ট্রিতে আছে। একটা হচ্ছে চুরি, আরেকটা সন্ত্রাস। কথায় কথায় লাঠি নিয়ে আসবে, হুঙ্কার দেবে। কিন্তু তাদের এ হুঙ্কার বাংলাদেশের মানুষ ভয় পায় না। মানুষ এখন জেগে উঠেছে। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত উত্তাল তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে। এ আন্দোলনের তরঙ্গে আওয়ামী লীগ ভেসে যাবে।

আজ (১৫ অক্টোবর) শনিবার বিকালে ময়মনসিংহ নগরের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রাবাস মাঠে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা আন্দোলনে ভোলায় নূরে আলম ও আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন, মুন্সীগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন ও যশোরে আব্দুল আলিম নিহত হন। এসব হত্যার প্রতিবাদে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ময়মনসিংহ মহানগর আহ্বায়ক অধ্যাপক এ.কে.এম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে  গণসমাবেশে বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মশিউর রহমানসহ বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। গত ৬ অক্টোবর ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস মাঠে বিভাগীয় সমাবেশের অনুমতি চায় দলটি। সেখানে অনুমতি না দিয়ে শনিবারের সমাবেশের জন্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রাবাস মাঠ নির্ধারণ করে দেয় প্রশাসন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না, এই সরকার ভোট ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। ২০১৪ এবং ১৮ সালে কেউ ভোট দিতে পারেনি। গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনই প্রমাণ করে দলীয় সরকারের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। একটি ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশনের পক্ষে দলীয় সরকারের অধীনে ৩০০ আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা কীভাবে সম্ভব। একটি আসনে উপ-নির্বাচন করতে গিয়ে ৫১টি ভোট কেন্দ্রের ভোট বন্ধের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। তাই এই সরকারকে অতিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সরকার অত্যন্ত সু-পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন আইন তৈরি করে সাংবাদিকদের লেখার ক্ষমতা বন্ধ করে দিয়েছে। গণমাধ্যম এবং ফেসবুককে যেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সরকার, সেজন্যই তারা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনটা করেছে। কারণ যেকোনো সময় ইচ্ছা করলেই এই অজুহাতে জেলে ভরতে পারবে। এর মাধ্যমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। এই আইনের আওতায় রাজবাড়ীতে মহিলা দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন সমাজকর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেলে নিয়েছে। তিনি ফেসবুকের একটা জবাব দিতে গিয়ে শেষ হাসিনাকে নাকি সমালোচনা করেছেন। সেজন্য গভীররাতে তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছে। শেখ হাসিনার সমালোচনা এই গণতান্ত্রিক দেশে করা যাবে না। কারণ এটি গণতান্ত্রিক দেশ নয়। এভাবেই তারা সারাদেশে ত্রাস সৃষ্টি করেছে। প্রশাসন এবং বিচার বিভাগকেও দলীয়করণ করা হয়েছে। আর পার্লামেন্টে তো কোনো আলাপ আলোচনাই হয় না। তারা শুধু প্লট-গাড়ি নেয় আর সুন্দর সুন্দর জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। জনগণের কোনো কথা সেখানে আলোচনা হয় না। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। এই আ.লীগ সরকার গত ১৫ বছরে এই দেশের সমস্ত অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।