রহমত ডেস্ক 22 September, 2022 09:04 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গত ১৫ বছর অনেক চেষ্ঠা করেও বিএনপিকে দমাতে এবং দুর্বল করতে পারেনি, খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে এমন কোনো নেতাকর্মী নেই, যাদের নামে মামলা দেওয়া হয়নি। তবুও কেউই দল ছেড়ে যায়নি। বিএনপি ঐক্যবদ্ধ থেকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে। আওয়াম লীগ ৭৫ সালে বাকশাল কায়েম করেছিল, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারও বাকশাল কায়েম করতে চায়। তবে, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সবাই মিলে রাজপথে নামলেই এই সরকারের পতন অনিবার্য। আওয়ামী লীগের পেটুয়া বাহিনীদের বলতে চাই, আপনাদের আমরা চিহ্নিত করে রেখেছি। বেশিদিন সময় নাই, জনগণের সামনে আপনাদের বিচার হবেই। আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা, অনেক হয়েছে, আর নয়। আর একজন নেতাকর্মীর ওপরেও হামলা করবে না। যারা বলে বিএনপিকে রাজপথে খুঁজে পাওয়া যায় না, তারাই ভয় পেয়ে আমাদেরে বিরুদ্ধে আপানাদের লেলিয়ে দিচ্ছে। তারা নিজেরাই পালানোর জায়গা পাবে না। সুতারাং সাবধান হোন।
আজ (২২ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর সায়েদাবাদ ব্রিজের ঢালে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলায় গুলিতে নিহত নূরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জের শাওন প্রধানের ‘হত্যার’ প্রতিবাদে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৭ নম্বর জোন আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা মহানগর উত্তর আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। দুপুর ২টার পর থেকেই রাজাধানীর বিভিন্ন একালা থেকে ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় তাদের হাতে ছিল বাঁশের লাঠি ও ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্পে জাতীয় পতাকা। অন্যদিকে সমাবেশস্থলের আশ-পাশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশসহ সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিলও চোখে পড়ার মতো।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে। অন্যায়, দুশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে আমরা এক হয়েছি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যেই মুক্তিযোদ্ধারা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল আজ কোথায় সেই গণতন্ত্র? গণতন্ত্রকে করব দিয়ে বাকশাল কায়েক করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার পায়তারা চলছে। দেশের মানুষ খুব বেশি কিছু চায় না, তারা ৫ বছর পর কেন্দ্রে গিয়ে নিজের হাতে ব্যালট বাক্সে নিজেদের ভোট দিতে চায়। কিন্তু সরকার প্রতিবারই আগের রাতে চুরি ভোটবাক্স ভর্তি করে ভুয়া সংসদ গঠন করেছে। তবে, এবার তাদের পরাজিত করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই একটি নিরেপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া আমরা ঘরে ফিরবো না।