রহমত ডেস্ক 21 September, 2022 07:40 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আন্দোলনের জোয়ার শুরু হয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে না দিয়ে ঘরে ফিরে যাবো না। মাত্র রিহার্সেল, ফাইনাল খেলায় এখনো নামিনি। আন্দোলনে যারা রক্ত দিয়েছেন তা বৃথা যাবে না। রক্ত দিয়েই গণতন্ত্র উদ্ধার করবো। আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হবে না, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার যাওয়ার সময় বলে গেছেন যে তারা ব্যক্তির পক্ষে নয়। তারা দেশের পক্ষে, জনগণের পক্ষে। লুটপাট করতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কয়েকজনের পকেট ভারী হবে।
আজ (২১ সেপ্টেম্বর) বুধবার রাজধানীর মিরপুর ৬নং কাঁচাবাজার সংলগ্ন সড়কে দলীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। দুপুর ২টার পর থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় এবং দলীয় পতাকা নিয়ে মিছিলসহ সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুব মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নাজিমুদ্দিন আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্য তাবিথ আউয়াল প্রমুখ।
গয়েশ্বর বলেন, আন্তর্জাতিক বিশ্বকে আহ্বান জানাই গণতন্ত্র উদ্ধারে পাশে থাকুন। আমাদের ক্ষমতা এনে দিতে হবে না। কে ক্ষমতায় আসবে তা জনগণই ঠিক করবে। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। নিশ্চিন্তে ভোট দেওয়ার প্রস্তুতি নিন। রাজপথে নামুন, ওরা পরাজিত হবেই।জনগণ ভোটের মাধ্যমে যাদের দায়িত্ব দেবে তারাই দেশ চালাবে। যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় তাদের কাছে কোনো দাবি করে লাভ নেই। আজ জনগণের একটাই দাবি, সরকারের পদত্যাগ। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়ে কিছু হবে না। সবার হাতে মোটা লাঠি থাকতে হবে। তবে কাউকে আঘাত করার জন্য নয়, নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য। আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত করতে হবে।
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর যারা হামলা করেছে সেসব অপরাধীকে জনসম্মুখে হাজির করেন। তা না হলে জনগণের কাঠগড়ায় আপনাদের বিচার হবেই। পাল্টা আঘাত শুরু করলে পালানোর জায়গা পাবেন না। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার যে কথা আগে বলেছিলেন, সামনে আবার সেই দিন আসছে। লড়াই করে দেশ স্বাধীন করেছি, কাউকে আর স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ শাসন করতে দেবো না। আমাদের এই আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, এই আন্দোলন জনগণকে শৃঙ্খলমুক্ত করার আন্দোলন।
প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এখনো সময় আছে জনগণের কাতারে আসেন, সব অন্যায় মাফ হয়ে যাবে। ভয় পাবেন না, ভুল বোঝানো হচ্ছে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আপনাদের চাকরি চলে যাবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কারও চাকরি যাবে না। নিরপেক্ষ থাকুন, নইলে সরে দাঁড়ান। এই সরকারের অধীনে যারা নির্বাচন করতে চাইবে বা ভাগবাটোয়ারা নির্বাচন করতে চায়, সেটা আমার দলের হোক বা অন্য কোনো দলের হোক। রাজপথে তাদের প্রতিহত করতে হবে।