মূল পাতা রাজনীতি আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা : ওবায়দুল কাদের
রহমত ডেস্ক 21 August, 2022 04:46 PM
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনারা সমাবেশ করেন মানুষ সাড়া দেয় না কেন? এর কারণ শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা। জনপ্রিয়তা কার বেশি তা সামনের জাতীয় নির্বাচনে প্রমাণ হবে। সামনে নির্বাচন, অপেক্ষা করুন। কে কত জনপ্রিয় প্রমাণ হয়ে যাবে। অপেক্ষা করুন, বাংলাদেশের মানুষ কী চায় প্রমাণ হয়ে যাবে। ৭৫-এর পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তাঁর সঙ্গে আছে বাংলাদেশের মানুষ। তাঁর উন্নয়ন অর্জনে বাংলাদেশের মানুষ খুশি।
আজ (২১ আগষ্ট) রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, পল্টনে আর প্রেস ক্লাবে নির্দিষ্ট জায়গায় সমাবেশ করে তলানিতে নিয়েছেন আপনাদের জনপ্রিয়তা। আমি বলব, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে পঁচাত্তর পরবর্তীকালে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এ সত্য শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ব আজ স্বীকার করে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, নেত্রী আপনি অনেককে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার যারা মাস্টারমাইন্ড, একুশে আগস্টেরও মাস্টারমাইন্ড তারা। মুফতি হান্নান জবানবন্দিতে বলেছেন, ‘হাওয়া ভবনের নির্দেশ পেয়ে আমরা অপারেশন শুরু করেছিলাম।’ এ সত্য কি তারা অস্বীকার করতে পারবেন? বিএনপি মহাসচিবের কাছে জবাব চেয়ে পাইনি, রাজনৈতিক সম্পর্কের এই দেয়াল একুশে আগস্টে এসে আরও উঁচুতে গেছে। এর সৃষ্টি করেছে বিএনপি। তারপরও শেখ হাসিনা তাদের গণভবনে ডাকেন, সংলাপ করেন। ছেলে মারা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ছুটে গিয়েছিলেন শোকাহত মাকে সান্তনা দিতে। ঘরের দরজা বন্ধ, বাইরের গেট প্রধানমন্ত্রীর মুখের উপর বন্ধ করে দেওয়া হলো। সেদিন ঘরের দরজা বন্ধ করে আপনারাই বাংলাদেশে রাজনৈতিক সম্পর্কের দেয়ালকে আরও উঁচুতে তুলেছেন। আপনারাই সেদিন প্রকারান্তরে সংলাপের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার কথা স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেদিন ৫০০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছিলেন। আজকে এখানে অনেকেই এসেছেন। যারা সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের অনেকেই এসেছেন এখানে। বঙ্গবন্ধু কন্যা তাদের খোঁজখবর রেখেছেন। তিনি তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা না থাকলে আজকে কী হতো বাংলাদেশের। কোথায় হতো পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কয়টা জন্মদিন থাকে? করোনাকালে পাওয়া গেলো ৬ষ্ট জন্ম দিন। যে দলের নেতার এতগুলো জন্মদিবস তাকে কি বিশ্বাস করা যায়?