| |
               

মূল পাতা জাতীয় পদ্মা সেতুতে রেল ট্র্যাক স্থাপন কাজের উদ্বোধন


পদ্মা সেতুতে রেল ট্র্যাক স্থাপন কাজের উদ্বোধন


রহমত ডেস্ক     20 August, 2022     02:24 PM    


পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল সেতুতে রেল ট্র্যাক স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

আজ (২০ আগষ্ট) শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেতুর জাজিরা প্রান্তে তিনি এ কাজের উদ্বোধন করেন। এর আগে রেলমন্ত্রী মুন্সীগঞ্জের মাওয়া এলাকায় পদ্মা সেতুর রেল ট্র্যাক স্থাপন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। পরে তিনি কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে সেতুর মাওয়া প্রান্ত থেকে গাড়িবহর নিয়ে জাজিরা প্রান্তের উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় পদ্মা সেতু প্রকল্পের রেল অংশের কর্মকর্তারা মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রকল্পের ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৬৬ শতাংশ এবং মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি প্রায় ৮৫ শতাংশ আর ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৫২ শতাংশ। কাজের ফিন্যান্সিয়াল অগ্রগতি ৬৮ শতাংশ এবং ফিজিক্যাল অগ্রগতি ৭০ শতাংশ, এই মূল্যায়ন কনসালটেন্ট গ্রুপের, তবে চায়না কনস্ট্রাকশন গ্রুপের মূল্যায়ন অনুযায়ী কাজের অগ্রগতি আরো অনেক বেশি।

এর আগে গত ১৫ জুলাই রেলমন্ত্রী বলেছিলেন, ‌‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প সরকারের ১০টি অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি। এই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হবে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে। সময়মতো বাস্তবায়নে প্রকল্পকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি অংশ ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত, দ্বিতীয় অংশ মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এবং তৃতীয় অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত।’

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে পদ্মা সেতু ও এর দুই প্রান্তে রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। শুরুতে যানবাহন চলাচলের সঙ্গে একই দিনে রেল চালুর পরিকল্পনা ছিল সরকারের। কিন্তু রেললাইন বসানোসহ সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো নির্মাণের কাজ পিছিয়ে আছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে সরকারের সেতু বিভাগ। সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল নিশ্চিতের দায়িত্ব বাংলাদেশ রেলওয়ের। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন বসানো এবং স্টেশন ও অন্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য আলাদা প্রকল্প নেয় রেলওয়ে। জিটুজি পদ্ধতিতে এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। রেল সংযোগের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।