রহমত ডেস্ক 20 August, 2022 03:00 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ব্যাখ্যা তারা দেয়নি। অথচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর জায়গা থেকে সরে আসেননি। তিনি একটি বক্তব্য দিয়েছেন, সে বক্তব্য তিনি আবার এনশিওর করেছেন। তাই আমাদের বুঝে নিতে হবে, পরিষ্কার ভাষায় যারা অন্যের আনুকূল্যে টিকে থাকে, তাদের এ দেশের সরকার পরিচালনা ও শাসন করার কোনো অধিকার নেই। এ সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। যার প্রমাণ তারা একে একে দিয়ে যাচ্ছে।
আজ (২০ আগষ্ট) শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিদ্যুতের লোডশেডিং, তেলের মূল্য ও নিত্য পণ্য মূল্য বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক দমন-পীড়নের প্রতিবাদে ইনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ইউট্যাবের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে এবং নিজেদের স্বাধীন হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে। তখন আওয়ামী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সরকারকে বলেন, আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য। অর্থাৎ তারা এ কথা বলতে চান, ভারত সরকারের অনুকূলেই এ সরকার টিকে আছে। এখন আর কোনো নির্বাচনের কথা নয়, এখন আর ঘুম পাড়ানির কোনো কথা নয়। এখন একটা মাত্র দাবি, এ সরকার কবে যাবে। তাই আমরা বলেছি, সবার আগে গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমানসহ ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অবিলম্বে এ সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল একটি পার্লামেন্ট ও সরকার গঠন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এ সরকার লুটেরা সরকার। তাদের লুটেরা সরকারের এলিট শ্রেণি হচ্ছে আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ, তাদের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ওয়ার্ড পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। আমলা কিছু আছেন, যারা প্রতিদিন দেখবেন প্রজেক্ট তৈরি করছে কীভাবে তাদের সম্পদ আরও বৃদ্ধি পাবে, কানাডার বেগম বাজারে তাদের আরও বাড়ি তৈরি হবে। আরও আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু উচ্ছিষ্টভোগী শিক্ষক, কিছু বুদ্ধিজীবী। তাঁরা যখন টকশোতে কথা বলেন, মনে হয়, মোমেন সাহেব যখন বলেছেন বেহেশতে আছি, এটা কোনো অমূলক কথা নয়। তাঁরা প্রমাণ করতে চান, আসলেই মানুষ বেহেশতে আছে। আওয়ামী লীগ যতবারই ক্ষমতা এসেছে, ততবারই তারা বর্গীদের ভূমিকা পালন করেছে। আজ এ সরকার আমাদের ন্যূনতম যে অধিকার, সেগুলো কেড়ে নিয়েছে।