রহমত ডেস্ক 22 July, 2022 03:33 PM
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বিগত দিনের বৈঠকে সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়া হলেও কার্যত বিভিন্ন সময় সীমান্তে হত্যা ঘটে চলেছে।
গত ১৭ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ঢাকার পিলখানায় বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে ৫২তম সীমান্ত সম্মেলনে যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আবারও সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার আশ্বাস দিয়েছে দু'দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বিএসএফ মহাপরিচালক পঙ্কজ কুমার সিংয়ের নেতৃত্বে ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেন। অপরদিকে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, সার্ভেয়ার জেনারেল অব বাংলাদেশ এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের সংশ্লিষ্টরাসহ ২০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেয়।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির তথ্য বলছে, ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সীমান্তে ২০২ বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪৩৮ জন। চলতি বছরের (২০২২) জুন পর্যন্ত সীমান্তে মারা গেছেন পাঁচ জন। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২। ২০২০ সালে ছিল ৪৯ জন। ২০১৯ সালের সীমান্ত নিহত হয় ৩৫ বাংলাদেশি। ২০১৮ সালে নিহতের সংখ্যা ছিল তিন জন। ২০১৭ সালে ২২ জন। ২০১৬ সালে ৩১ ও ২০১৫ সালে ৪৫ জন নিহত হয়।
বিএসএফের তথ্য বলছে, চলতি বছরের মে পর্যন্ত সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের মাধ্যমে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৯৮টি। সীমান্তে নিহত হয়েছে ৮ জন। নন-লিথাল উইপেন ব্যবহার হয়েছে ১৫৭২ বার। ২০২১ সালে প্রাণঘাতী অস্ত্রের মাধ্যমে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২১৪টি। ২০২০ সালে ঘটে ২৬৮টি। সীমান্তে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিএসএফের ১৪ সদস্য আহত হয়। ২০২১ সালে আহতের সংখ্যা ছিল ৪৯ জন।