রহমত ডেস্ক 19 July, 2022 09:54 PM
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বরগুনার তালতলী উপজেলার নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিভিন্ন পদে জায়গা পেয়েছে ৬ শিশু। তাদের মধ্যে দুজন মাধ্যমিক পাস করলেও চারজনই পেরোয়নি স্কুলের গণ্ডি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল ছাত্রলীগের কর্মীরা। গত ১৬ জুলাই রাতে সরোয়ার হোসেন স্বপনকে সভাপতি এবং এইচ এম মিনহাজুল আবেদিন মিঠুকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫২ সদস্যদের তালতলী উপজেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিক ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসাইন এ কমিটির অনুমোদন দেন। এদিকে কমিটি ঘোষণার পর থেকেই শিশুদের পদে রাখা নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এছাড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিবাহিতদের কমিটিতে পদ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমান কমিটির সহসম্পাদক পদে আছেন সানজিদ মাহমুদ সিফাত, রিয়ান জোমাদ্দার ও মো. হাসান হাওলাদার। তাদের মধ্যে সানজিদ মাহমুদ সিফাত ও রিয়ান জোমাদ্দার তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর হাসান হাওলাদার তালতলী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এছাড়া কমিটির উপগণশিক্ষা-বিষয়ক সম্পাদকের পদ পাওয়া আরাফাত জোমাদ্দারও তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অন্যদিকে সহসম্পাদক পদ পাওয়া মো. রনি খান ও ইমরান খান গত বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। এখন তারা কড়ইবাড়িয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ দেওয়ার বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী রইসুল আলম সাদ্দাম বেপারী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগ করে আসছি। আমার মতো আরও অনেক কর্মী আছে, যারা নিঃস্বার্থভাবে ছাত্রলীগ করে আসছি। কিন্তু আমরা পদ পাইনি, পদ পেয়েছে স্কুলপড়ুয়া শিশুরা। এটা আমাদের জন্য লজ্জার।
বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিক বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশে এই কমিটি দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া যেদিন তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়া হয়েছে, তার পরদিন জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন ছিল, তাই তাড়াহুড়ো করে কমিটি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিক ও সম্পাদক তানভীর হোসাইন স্বাক্ষরিত ১৪ সদস্যের একটি আংশিক তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন দেয়। এতে সরোয়ার হোসেন স্বপনকে সভাপতি ও মিনহাজুল আবেদিন মিঠুকে সম্পাদক করা হয়। গত ১৬ জুলাই ওই আংশিক কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হিসেবে ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ।