রহমত ডেস্ক 17 July, 2022 09:22 AM
নিজের বাবার প্রতিষ্ঠিত মাদরাসায় মাত্র ছয় মাসে পবিত্র কুরআন হিফজ (মুখস্থ) করেছে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার আট বছরের শিশু আবেদা সুলতানা। আবেদা সুলতানা হাতিয়া পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের উত্তর গুল্যাখালী এলাকার হাফেজ মো. আবদুল আজিজের বড় মেয়ে এবং আহমুদা খাতুন মহিলা হাফেজিয়া মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্রী।
সাড়ে ৫ বছর বয়সে মাদরাসার নুরানি শাখায় আবেদা সুলতানাকে ভর্তি করান বাবা মো. আবদুল আজিজ। তার স্বপ্ন ছিল মেয়েকে হাফেজা বানাবেন। এরপর আড়াই বছর নুরানি পড়ে আবেদা। ৩ মাস নাজরানা বিভাগে পড়ার পর হিফয সবক নেয় আবেদা সুলতানা। এরপর মাত্র ৬ মাসে পবিত্র কুরআন হিফজ (মুখস্থ) করে সে।
আবেদার বাবা হাফেজ মো. আবদুল আজিজ বলেন, আমি এই মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছি। ২০১২ সালে এই মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে ৮০ জন মেয়ে শিক্ষার্থীর জন্য ৫ জন নারী শিক্ষিকা ও ২ জন পুরুষ শিক্ষক রয়েছেন। এখান থেকে গত বছর ১০ জন হাফেজা হয়েছে। আমার মেয়ে আবেদা ৬ মাসে হাফেজা হয়েছে। এছাড়া আরজু নামে আরেক মেয়ে শিক্ষার্থী মাত্র ৭ মাসে হেফজ শেষ করেছে এবং এক বছরে অনেক মেয়ে হাফেজা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মাদরাসায় আমরা যেভাবে বলি, অনেক সময় সেভাবে পড়ানো যায় না। কিন্তু আবেদাকে আমরা যেভাবে বলেছি সে সেভাবে শুনেছে। তার মেহনতের মাধ্যমে পবিত্র আল্লাহর কালাম মুখস্থ করা সম্ভব হয়েছে। সবাই যখন ঘুমাত আবেদা তখন পড়ত। আবেদার কখনো সবক বন্ধ ছিল না। অসুস্থ থাকলেও সে সবক পড়ত। কখনো পড়া থেকে বিরত থাকত না।
হাতিয়া পৌরসভার মেয়র কে এম ওবায়েদ উল্যাহ বলেন, আমি খবরটা শুনে অনেক আনন্দিত হয়েছি। এমন সুন্দর একটা ঘটনা আমাদের হাতিয়ায় হয়েছে, যা অবাক করার মতো। মাত্র ৬ মাসে আল্লাহর কালাম মুখস্থ করা সৌভাগ্যের বিষয়। আল্লাহ এই শিশুর সেই মেধা দিয়েছেন। সেই জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য কামনা করছি এবং আবেদার সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করছি।