রহমত ডেস্ক 17 July, 2022 12:55 PM
দেশে সব কিছুর দামই এখন উর্ধ্বমুখী। সেই তালিকায় এবার যোগ হচ্ছে ঔষধ। কোম্পানিগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এবার ২০টি জেনেরিকের ৫৩টি ব্র্যান্ডের ঔষধের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
শনিবার (১৭ জুলাই) অধিদপ্তরের পরিচালক ও মুখপাত্র আইয়ুব হোসেন খবরটি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘ঔষধ কোম্পানিগুলো কিছু ঔষধের দাম বাড়ানোর আবেদন করেছিল। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অধিদপ্তর ৫৩টি ঔষধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করেছে। অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্যের বাইরে কেউ ঔষধ বিক্রি করতে পারবে না।’
স্বাস্থ্যসেবায় ঔষধ অপরিহার্য। করোনার সংক্রমণ, ডেঙ্গুজ্বরের বিস্তারে মানুষের স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক জটিলতা বেড়েছে। এরই মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত ঔষধের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী প্যারাসিটামলের ৫০০ এমজির প্রতিটি ট্যাবলেট ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে এক টাকা ২০ পয়সা। কিছু ঔষধের দাম বেড়েছে ১০০ শতাংশেরও বেশি। অর্থাৎ আগে যে দামে ঔষধ কেনা যেতো, এখন তার চেয়ে দ্বিগুণ টাকা গুনতে হবে।
দেশে অত্যাবশ্যকীয় ঔষধের তালিকায় ২১৯টি ঔষধ আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এর মধ্যে ১১৭টি ঔষধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এই ১১৭টির মধ্যে ৫৩টি ঔষধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধিদপ্তর।
একটি সূত্র বলছে, অত্যাবশ্যকীয় ঔষধের তালিকায় থাকা সব ঔষধ উৎপাদন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ঔষধ কোম্পানিগুলো সব ঔষধ উৎপাদন করে না। তারা বলে, এতে লাভ কম। ঔষধ কোম্পানিগুলো এসব ঔষধের দাম বাড়ানোর কথা বলে আসছিল, যেন এসব ঔষধ উৎপাদন ও বিক্রি করে কোনো লোকসান না হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ঔষধের দাম বাড়ছে।
তবে এমন সময়ে ঔষধের দাম বাড়ানো হচ্ছে, যখন অনেক নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। দেশেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দামে। বিভিন্ন নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে চাপে রয়েছে স্বল্প আয়ের মানুষেরা। -আরটিভি অনলাইন।