রহমত ডেস্ক 10 July, 2022 12:39 PM
বন্যাকবলিত সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শাহী ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজের পর বানভাসি মানুষের কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পুরো শাহী ঈদগাহ ময়দানে মুসল্লিদের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে যায়। এছাড়া দেশ ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি কামনা করে দোয়া চাওয়া হয়। এ সময় বন্যাকবলিত অঞ্চল সিলেটের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে সবাইকে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে আনার জন্য দোয়া করা হয়।
আজ (১০ জুলাই) রবিবার সকাল ৮টায় লাখো মুসল্লির পদচারণে মুখরিত হয়ে ওঠে ঈদগাহ ময়দান। জামাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের মুসল্লিরা অংশ নেন। নামাজের আগে বয়ান পেশ ও নামাজের ইমামতি করেন সিলেট নগরীর বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. আবু হোরায়রা।
সিলেটে ঈদের দ্বিতীয় বৃহৎ জামাত সকাল ৮টায় দরগাহে হযরত শাহজালাল রাহমাতুল্লাহি আলাইহি জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সময় হযরত শাহপরান রাহমাতুল্লাহি আলাইহি মাজার জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ছিল, পুলিশ লাইনস মাঠ, টিলাগড় শাহ মদনী ঈদগাহ ময়দান, বন্দরবাজারস্থ হাজী কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে প্রথম ঈদের জামাত সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় ঈদ জামাত সাড়ে ৮টায়, তৃতীয় ও শেষ জামাত সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। কাজিরবাজার জামেয়া মাদানিয়া মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং পশ্চিম পীরমহল্লা এলাকার গৌসুল উলুম জামেয়া ইসলামিয়া মাদরাসায় সকাল পৌনে ৮টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশের তথ্যমতে, পবিত্র ঈদুল আজহায় সিলেট মহানগর ও জেলার ছোট-বড় ৩ হাজার ২৬৯ ঈদগাহ ও মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫৫ ঈদগাহ ও ২ হাজার ৮৪১ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। ঈদ উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থাও জোরদার রয়েছে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ জানান, এ বছর চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সিলেট নগরীর অন্যান্য ঈদগাহ ও মসজিদে পুলিশের বিশেষ টিম কাজ করছে। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ বদ্ধপরিকর।