সিলেট-কুড়িগ্রামে আস-সিরাজ ফাউন্ডেশনের ৩য় দফা ত্রাণ বিতরণ

সিলেট ও কুড়িগ্রামে ৩য় দফা ত্রাণ বিতরণ ও ২য় দফা নগদ অর্থ প্রদান করেছে চট্টগ্রামের আস-সিরাজ ফাউন্ডেশন। গত কয়েকদিন ধরে সংগঠনটির উদ্যোগে কোম্পানীগঞ্জ থানার সীমান্তবর্তী এলাকা ছাতক, ইছামতী, রাবারড্রাম, বৈশাকান্দি, ছনবাড়ী, গাংপার, নিজগাঁও, বনগাও, নোয়াকুট বাহাদুরপুর, শাহআরফিন সহ প্রায় ১১ ইউনিয়নে কয়েকশত বানভাসি মানুষের মাঝে জরুরি খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এ সময় স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত মাদরাসায়ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে ফাউন্ডেশনটি।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের উদ্দেশে আস-সিরাজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক তানভীর সিরাজ বলেন, বন্যার শুরু থেকে আমরা সিলেট ও কুড়িগ্রামের প্রান্তিক এলাকায় গিয়ে গিয়ে দেশবাসীর সহযোগিতায় সুবিধাবঞ্চিত হতদরিদ্র বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য, বস্ত্র, ওষুধ, বিশুদ্ধ পানিসহ নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করে আসছি। গত দুই সপ্তাহ আগে আমরা কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার কপিলের চরে ত্রাণ বিতরণ করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় ৩য় দফা আবারও আপনাদের কাছে কিছু উপহার নিয়ে এসেছি। আমাদের ফাউন্ডেশনের স্থায়ী কমিটির উল্লেখযোগ্য সদস্য শাইখুল হাদিস আল্লামা ফয়জুল হক জালালাবাদী অসুস্থ থাকায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি আপনাদেরকে সালাম জানিয়ে বলেছেন, বন্যা যতদিন থাকবে ততদিন ইনশাআল্লাহ আস-সিরাজ ফাউন্ডেশন আপনাদের পাশে থাকবে।

আস-সিরাজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য শিক্ষাবিদ ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন অসুস্থ থাকায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হতে পারেননি। ফাউন্ডেশনের পরিচয় তুলে ধরে সালাম জানিয়ে তিনি আপনাদের বলেন, আস-সিরাজ ফাউন্ডেশন কুড়িগ্রাম, সিলেট, গাইবান্ধা ও চট্টগ্রামের পথশিুদের রান্না করা খাবার, বন্যা উপদ্রুত এলাকায় অগভীর নলকূপ, গৃহনির্মাণ সামগ্রী, শুকনো খাবার, চাল, ডাল, তেল বিতরণ করে আসছে। তিনি অসুস্থতার কারণে আসতে না পেরে বলেন, অনেক বেশি ভালো লাগতো, যদি নিজে উপস্থিত থাকতে পারতাম।

স্থানীয়দের পক্ষ থেকে জেলা আস-সিরাজ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি হাফিজ মাওলানা আব্দুল মান্নান বলেন, জামিয়া কুরআনিয়া নোয়াকুট মাদরাসায় বন্যার পানিতে অনেক কিতাবাদী ও মৌসুমি ধান সহ অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালকের কাছে কুরবানির কিছু গরু ছাগলের আবদার করলে নির্বাহী পরিচালক বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব এলাকার গরীব মানুষের জন্য আমরা ৫০টি ছাগল বাজেট রেখেছি, আলহামদুলিল্লাহ।

অত্র প্রতিষ্ঠানের হিতাকাঙ্ক্ষী রুবেল আহমেদ বলেন, এই মাদরাসায় আস-সিরাজ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের নগদ অর্থ দেওয়াটা তপ্ত মরুভূমিতে পানি উপহার দেওয়ার মত প্রশান্তির বিষয়। কারণ এই মাদরাসার শিক্ষকদের বেতন অনেক মাস বাকি। অনেক কষ্টে দিন পরিবার চালান। সেখানে আপনাদের এই নগদ অর্থ প্রদান অনেক উপকারে আসছে তাদের। আমরা স্থানীয় মানুষদের পক্ষ থেকে আস-সিরাজ ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা সহ সকল সদস্য ও হিতাকাঙ্ক্ষীর সুস্বাস্থ্য কামনা করছি এবং সবাইকে আন্তরিক মোবারকবাদ এবং শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম পটিয়া