রহমত ডেস্ক 07 July, 2022 07:56 AM
জ্বালানি তেল ও গ্যাসের সংকট থাকায় সীমিত পরিসরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবি সারাদেশে লোডশেডিং করছে। এলাকাভিত্তিক রুটিন করে নির্দিষ্ট সময়ে লোডশেডিং দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতাও প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার (৬ জুলাই) চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-চুয়েট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিলেটে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর আওতাধীন এলাকাগুলোতে লোডশেডিংয়ের সময়সূচি নির্ধারণ করেছে। তবে এর বাইরেও লোডশেডিং হতে পারে। এছাড়া সিলেটে প্রতিদিন দেড় ঘণ্টা লোডশেডিং করা হবে। বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া চার্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চার্টে সিলেটে প্রতিদিন কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং হবে তাও উল্লেখ করা হয়েছে।
সিলেটে লোডশেডিংয়ের সময়সূচি
সিলেট মহানগরের শিবগঞ্জ, টিলাগড়, সবুজবাগ, সেনাপাড়া, হাতিমবাগ, লামাপাড়া ও রাজপাড়া এলাকায় বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা লোডশেডিং হবে।শাহজালাল উপশহরের ব্লক এ, বি, সি, ডি ও তেররতন এলাকায় দুপুর ১টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা লোডশেডিং হবে। একই এলাকার ব্লক এইচ, আই, জে, ই, এফ, জি ও সাদাটিকর এলাকায় রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে।
নগরের মিরাবাজার, আগপাড়া, যতরপুর ও ঝেরঝেরিপাড়া এলাকায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে। সেনপাড়া, মজুমদারপাড়া, পূর্ব মিরাবাজার, দর্জিপাড়া, খারপাড়া এলাকায় সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে।
মেন্দিবাগ পয়েন্ট, ডুবুরিহাওর, নাইওরপুল, ধোপাদিঘীরপাড়, সোবাহনীঘাট ও ওসমানী জাদুঘর রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে।
মিরেরচক, পিরেরচক, মুক্তিরচক ও মুরাদপুর এলাকায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং হকার্স মার্কেট, কালীঘাট, আলী আমজাদ রোড, মহাজনপট্টি, মাছিমপুর ও ছড়ারপার এলাকায় রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে।
মহানগরের কুশিঘাট, নয়াবস্তি, টুলটিকর, মিরপাড়া, মেন্দিবাগ, সাদাটিকর, নোয়াগাও, শাপলাবাগ ও মেন্দিবাগ এলাকায় বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এবং রায়নগর, ঝরণারপাড়, দর্জিবন, বসুন্ধরা, খরাদিপাড়া, দপ্তরিপাড়া ও আগপাড়া এলাকায় বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে।
চালিবন্দর, কাষ্টঘর, সোবহানীঘাট, বিশ্বরোড, জেলখানা, ওসমানী জাদুঘর ও পৌরমার্কেট (পৌরবিপনী) এলাকায় সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এবং কাজিটুলা, মানিকপীর মাজার, নয়াসড়ক, বারুতখানা, জেলরোড, হাওয়াপাড়া ও চারাদিঘীরপাড় এলাকায় রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে।
কুমারপাড়া, নাইওপুল, ধোপাদিঘীরপাড় ও ঝর্ণারপাড় এলাকায় দুপুর ১টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে। পাশাপাশি বালুচর, আরামবাগ, আল-ইসলাহ, নতুনবাজার, গোপালটিলা, আলুরতল ও টিভি গেইট এলাকায় বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে।
লোডশেডিংয়ের সময় নির্ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিন বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী- আমরা এলাকাভিত্তিক প্রাথমিক একটি রুটিন করেছি। উৎপাদনে বেশি ঘাটতি না হলে আমরা চেষ্টা করবো এ রুটিন ফলো করার। তবে ঘাটতি বেশি হলে এসময়ের ব্যত্যয়ও ঘটতে পারে। অথবা ঘাটতি কম হলে তার চাইতেও কম সময় লোডশেডিং হতে পারে। বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করে লোডশেডিং অনেকটা এড়ানো সম্ভব। সিলেটে পিডিবি-২ দপ্তরের আওতায় ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। যদি পিক আওয়ারে প্রত্যেকে গড়ে ১০০ ওয়াট বিদ্যুৎ বন্ধ রাখেন, তাহলে মোট ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। তাতে লোডশেডিং কমে আসবে। এ অবস্থায় সব গ্রাহকদেরকে পিক আওয়ারে অন্তত একটি ফ্যান এবং অপ্রয়োজনীয় বাতি বন্ধ রেখে জাতীয় সংকটের মুহূর্তে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।