মূল পাতা আন্তর্জাতিক আফগানে বাণিজ্য–বিনিয়োগ পরিকল্পনা ঘোষণা চীনের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 06 July, 2022 02:32 PM
ভূমিকম্পের পর আফগানিস্তানের জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে চীন। ভূমিকম্পের পর আফগানিস্তানে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মানবিক ভোগান্তির বিষয়টি সামনে আসে। ওই ভূমিকম্পে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। এরই মধ্যে তালেবান নিয়ন্ত্রিত দেশটিতে ব্যবসা পরিচালনায় সরকারি পর্যায়ের ঘোষণা এল। মঙ্গলবার তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রীকে পাশে নিয়ে বিরল এক সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তানে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ওয়াং ইয়ু গত ২২ জুন ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে ৮০ লাখ ডলারের সহায়তার ঘোষণা দেন।
ওয়াং বলেন, জরুরি মানবিক সহায়তা ছাড়াও গত বছরের রাজনৈতিক পরিবর্তন ও এই ভূমিকম্পের পর আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক পুনর্গঠন পরিকল্পনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেয়েছে বাণিজ্য। এরপরই রয়েছে বিনিয়োগ ও কৃষি।
প্রায় দুই দশকের যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা আফগানিস্তান থেকে আকস্মিক সেনা প্রত্যাহার করে নিলে গত বছর ফের ক্ষমতা দখল করে নেয় তালেবান। এখন পর্যন্ত কোনো দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আফগান রিজার্ভের কয়েক শ কোটি ডলার জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্ত হিসেবে জনজীবনে নারীদের অংশগ্রহণে বিধিনিষেধ তুলে নিতে বলা হয়। কিছু দাতব্য সংস্থার অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞার কারণে গত মাসের ভূমিকম্পের পর পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদানে তাদের সক্ষমতাকে সংকুচিত করেছে।
আফগানিস্তানের সঙ্গে ছোট্ট সীমান্ত রয়েছে চীনের। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ বিনিয়োগ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রভাব তৈরি করছে দেশটি। আফগানিস্তানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে অব্যাহতভাবে আহ্বান জানিয়ে আসছে চীন। রাষ্ট্রদূত বলেন, দুটি বড় খনি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় মেস আয়নাক তামার খনি। বিগত আফগান সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী এই খনির স্বত্ব পেয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় একটি কোম্পানি। আফগানিস্তানের অনেকটাই অব্যবহৃত খনিজ মজুতের মধ্যে রয়েছে লোহা আকরিক ও তামার বিশাল ভান্ডার। চীন সব সময় মনে করে এসব অর্থ আফগান জনগণের। এই তহবিল ছাড় করতে চীন সব সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে।
গত সপ্তাহে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ধর্মীয় নেতা ও উপজাতির প্রবীণ নেতাদের সমাবেশে সর্বোচ্চ নেতাসহ তালেবান কর্মকর্তারা বলেন, সাহায্যের ওপর নির্ভরতা কমানো এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে হবে।