| |
               

মূল পাতা ইসলাম জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতির কাজ শেষ পর্যায়ে


জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতির কাজ শেষ পর্যায়ে


রহমত ডেস্ক     28 June, 2022     09:14 PM    


মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য প্রতিবছরের মতো এ বছরও জাতীয় ঈদগাহকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। আজ (২৮ জুন) মঙ্গলবার বিকলে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা পুরো মাঠে প্যান্ডেলের কাজ করছেন। ৬৫০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৩৬০ ফুট প্রস্থের মাঠটিতে বাঁশের কাজ ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ১ জুলাই (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) থেকে জিলহজ মাস শুরু হবে। ধর্মীয় হিসাব অনুযায়ী, জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়ে থাকে। সে হিসেবে আগামী ১০ জুলাই সারা দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন-ডিএসসিসি জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের বলেন, ৩০ হাজার বর্গমিটার ময়দানের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার জুড়ে প্যান্ডেল করা হচ্ছে। এবার ঈদের প্রধান জামাতজাতীয় ঈদগাহে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে বৈরী আবহাওয়া থাকলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। ৩৫ হাজারের মতো মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। এছাড়া ২৫০ জন ভিআইপি পুরুষ এবং ৮০ জন ভিআইপি নারীর জন্য নামাজের ব্যবস্থা করা হবে।

ঈদগাহ মাঠের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিয়ারো সরদার অ্যান্ড সন্সের পক্ষে মোজাম্মেল হক জানান, গত ১৩ জুন থেকে ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়েছে। ৮০ জন শ্রমিক দিন-রাত কাজ করছেন। আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে ময়দান পুরোপুরি প্রস্তুত হবে নামাজের জন্য।

মাঠে কর্মরত প্রধান শ্রমিক আব্দুল মজিদ মিয়া বলেন, আমরা কয়েকদিন ধরে বাঁশ বাঁধছি। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে বাঁশ বাঁধার কাজ শেষ হলে ৫ জুলাই বৃষ্টি প্রতিরোধী ত্রিপল টানাবো এবং ৬ জুলাই সামিয়ানা টানাবো। তারপরে ক্রমান্বয়ে অন্যান্য কাজগুলো করে নামাজের জন্য পুরো মাঠ প্রস্তুত করব।

ডিএসসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঈদগাহে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। থাকবে অজুর ব্যবস্থাও। ১৪০ জন মুসল্লি একসাথে অজু করতে পারবেন। মোট ১০টি এয়ার কুলারের ব্যবস্থা থাকবে। মাঠে ৫৫০টি সিলিং ফ্যান, ১৫০টি স্ট্যান্ড ফ্যান, ৪০টি মেটাল লাইট ও ৭০০টি টিউব লাইট লাগানো হবে। ভ্রাম্যমাণ টয়লেট, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও রাখা হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে।