রহমত ডেস্ক 14 June, 2022 04:00 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মাস্টারমাইন্ড ও রিং লিডার বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
আজ (১৪ জুন) মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।পরে আদালত দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার খোন্দকার মোহতেশাম হোসেনের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিজানুর রহমান।
গত ২৪ মার্চ বাবরের জামিন নামঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। এর আগে ২০২০ সালের ২৬ জুন দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এছাড়া মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তারা। ২৩টি বাস-ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন ওই দুই ভাই। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তারা। রাজবাড়ীতে ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর এক আইনজীবী খুন হন। সেই হত্যা মামলার আসামিও ছিলেন বরকত ও রুবেল। ২০২০ সালের ১৮ জুন মিরাজ আল মাহমুদ তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হন। গত ৭ মার্চ দিনগত রাত ৩টার দিকে রাজধানী ঢাকা থেকে খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরকে গ্রেপ্তার করা হয়।