রহমত ডেস্ক 14 June, 2022 04:40 PM
সুষ্ঠু ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসতে বিএনপির প্রতি আহবান জানিয়ে বাংলাদেশআওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং ঢাকা মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, আমরা চাই আপনারা সুষ্ঠু রাজনীতিতে ফিরে আসেন। সামনে নির্বাচন। নির্বাচনে মানুষের কাছে যান। জনগণের কাছে মাফ চেয়ে ভোটে যান। ভোটে যদি জয়লাভ করেন, আমরা আপনাদের স্যালুট দিয়ে ক্ষমতায় বসাবো। কিন্তু পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে যদি কোন ধরনের ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করেন, তাহলে তা মোকাবেলা করা হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম প্রেসক্লাবের সামনে সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত যেভাবে মিথ্যাচার করেন এতে প্রেসক্লাবের পবিত্রতা নষ্ট করে ফেলেছেন। মুখ দিয়ে দেশ উদ্ধার করা যায়। কিন্তু আপনার মুরাদ কতটুকু, সেটাও দেখতে হবে।
আজ (১৪ জুন) মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর ১৪ দলের সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর জাসদের সমন্বয়ক মীর হোসাইন আখতারের সভাপতিত্বে এবং জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহদত হোসেন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি পলিট ব্যুরোর সদস্য কামরুল আহসান, জাতীয় পার্টি-জেপি প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহমেদ মুক্তা, আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল ইসলাম মিলন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের নেতা সুলতান আহমেদ বিশ্বাস, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব মো. আলী ফারুকী, ঢাকা মহানগর পূর্ব জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা প্রমুখ।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, সরকার উৎখাতের কোদাল দিয়ে খাল কেটে অস্বাভাবিক সরকার বা রাজাকার-জামাতের তালেবানি সরকার-এই দুই কুমির আনার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিতে হবে এবং সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। যারা বলেছিল নিজ অর্থে পদ্মা সেতু সম্ভব না, তাদের মূখে চুনকালি দিয়ে শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণ সফলভাবে সম্পন্ন করেন এবং দেশের অর্থনীতির উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারাও অব্যাহত রাখতে সমর্থ হন।২০০৯ সালের পর দুইবার অর্থাৎ ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার নির্বাচিত সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র চালিয়ে বিএনপি-জামাত চক্র ব্যর্থ হয়েছে। এবারও ২০২৩ সালের সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামাত-রাজাকার-জঙ্গিরা নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে। সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে যথাসময়ে নির্বাচনও করতে এবং যাপিত জীবনের সমস্যা দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি-দুর্নীতির সমস্যাও সমাধান করতে হবে।