| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বাজেট প্রত্যাখ্যান করে রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল


বাজেট প্রত্যাখ্যান করে রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল


রহমত ডেস্ক     10 June, 2022     07:52 AM    


চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রত্যাখ্যান করে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।  দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের নায়েবে আমির মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন ও দেলওয়ার হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল আমিন, আব্দুস সালাম, শেখ শরিফ উদ্দিন আহমেদ, মোবারক হোসাইন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি মু. আবুল খায়ের, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি তৌহিদুল ইসলামসহ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বিভিন্ন থানা আমির, সেক্রেটারি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।


জামায়াতের দাবি, বাজেটে অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা অর্থের বৈধতা দেওয়ার প্রস্তাব পক্ষান্তরে দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে আপস। মূলত দলীয় ও পছন্দের লোকদের দীর্ঘ দেড় দশক ধরে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ টাকার পাহাড়কে বৈধতা দেওয়ার জন্য বাজেটে এ প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী প্রতিবাদ সমাবেশে মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামে আওয়ামী সরকার এবারের বাজেট প্রস্তুত করলেও এই বাজেটে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। বাজেটে দেশের প্রান্তিক, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী উপেক্ষিত হয়েছে।

তিনি বলেন, এ বাজেট অতি উচ্চাভিলাষী ও ঘাটতির বাজেট। এ বছর বাজেটে মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কৃষি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, মানবসম্পদ ও শিক্ষাখাতে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলা হলেও আসলে বাস্তবতার সঙ্গে এর কোনো মিল নেই।

মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বাজেটে অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা অর্থের বৈধতা দেওয়ার যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা মূলত দলীয় ও পছন্দের লোকদের দীর্ঘ দেড় দশক ধরে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ টাকার পাহাড়কে বৈধতা দেওয়ার জন্য। এটা দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে আপস ছাড়া কিছু নয়। যা দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করবে। এ টাকার মালিক সরকার নয়, এ টাকার মালিক জনগণ। প্রকৃত মালিক জনগণের নিকট এ টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে।