| |
               

মূল পাতা সারাদেশ চিনাডুলী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ মজুরি আত্মসাতের অভিযোগ


চিনাডুলী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ মজুরি আত্মসাতের অভিযোগ


ওসমান হারুনী, জামালপুর প্রতিনিধি     10 June, 2022     06:35 PM    


জামালপুরের ইসলামপুরে চিনাডুলী চেয়ারম্যান আবদুছ ছালামের বিরুদ্ধে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ মজুরির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভোক্তভোগী অভিযোগ কারী সরকারি ৩০টি ঘর নির্মাণের মজুরী টাকা আত্মসাথের ঘটনায় একাধিকবার সালিস-দরবার করেও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালামের নিকট টাকা আদায় করতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে আইনি প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ঢাকাস্থ আইনসহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন, পুলিশের আইজিপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। তবে চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন শফিকের সাথে তার কোন লেন-দেন নেই।

এদিকে সরকারি ঘর নির্মাণের দায়িত্বে থাকা কালীন চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুছ ছালামের কাছে মজুরির টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন রাজমিস্ত্রী শফিকুল। ভুক্তভোগী রাজমিস্ত্রী শফিকুল ইসলাম ইসলামপুর পৌর শহরের বাজারিপাড়া এলাকার শহীদ শেখের ছেলে।

ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০সালে চিনাডুলী ইউপির আওতায় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালামের তত্ত্বাবধানে সরকারি অর্থে যমুনার জেগে উঠা চরে চিনাডুলী কুহুমারী গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়। শফিকুল ইসলামকে ওই গুচ্ছগ্রামে ৩০টি ঘর নির্মাণের চুক্তিভিত্তিক কাজ দেয় চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম। ১৩হাজার ৫শত হারে প্রতি ঘর নির্মাণ কাজের মজুরি বাবদ ৪লাখ, ৫০হাজার টাকায় চুক্তিমূলে ওই বছরের ১৭মার্চে কাজ শুরু করে শফিকুল ইসলাম। শফিকুল ইসলামের দোকান থকে ১ লাখ, ২৭ হাজার,৩৩২টাকা মূল্যের এঙ্গেল ক্রয় করে চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম। সর্বসাকুল্যে ৪ লাখ, ৬১ হাজার, ৩৩ টাকার মধ্যে কাজ চলাকালে মাত্র ৭১হাজার টাকা শফিকুল ইসলামকে দেয় চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম। বাকী টাকা দীর্ঘদিন ধরে দেই দিচ্ছি বলে টালবাহানা করে আসছে চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম।

এদিকে শফিকুল ইসলামের কাছে ঘর নির্মাণের শ্রমিক ও রাজমিস্ত্রীরা মজুরির টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। কিন্তু চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম টাকা না দেওয়ায় শ্রমিকদের মজুরির টাকা পরিশোধ না করতে পেরে বিপাকে পড়েছেন শফিকুল ইসলাম। ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম বলেন, 'গুচ্ছগ্রামে ঘর নির্মাণের কাজ শেষ করে দিয়েছি দেড় বছর আগে। কিন্তু এখনো চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম আমার পাওনা ৪লাখ, ৬১হাজার টাকা দিচ্ছে না। টাকা চাইতে গেলে চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম গালিগালাজ করাসহ আমাকে গুম করার হুমকি দেয়। একদিকে শ্রমিকদের মজুরির টাকা পরিশোধ করতে পারছিনা। অন্যদিকে গুম হওয়ার আশঙ্কায় মানবেতর জীবনযাপন করছি।'

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অভিযুক্ত আব্দুস ছালাম উপরোক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শফিকের সাথে আমার কোন লেন-দেন নেই; সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমানের হয়ে গুচ্ছ গ্রামের ৫০টি ঘরের কাজ করেছে শফিকের শ্যালক ও দেলোয়ার।'আমার কাছে সে কোন টাকা পায়না। নির্বাচনের সামনে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে অপপ্রচার করছে। আমি তার বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিবো।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ময়মনসিংহ জামালপুর ইসলামপুর