রহমত ডেস্ক 19 May, 2022 08:12 PM
দুর্নীতির চরম সীমা অতিক্রম করা বিচারপতি মানিক-তুরিন আফরোজরা আলেমদের দুর্নীতিবাজ বলা বেমানান। যারা দুর্নীতিতে আকুন্ঠ নিমজ্জিত এবং দুর্নীতির কারণে চরমভাবে অপমান অপদস্ত হয়ে বিদায় নিয়েছেন আজ তারা আলেমদের দুর্নীতির তদন্ত করে নিজেদের দুর্নীতিকে আড়াল করতে চায়। ইসলাম বিরোধী সাম্প্রদায়িক মনোভাব উস্কে দেওয়া কিছু লোক এবং সংবিধান বিরোধী গণতদন্ত কাজে যুক্ত অনেকের ব্যাপারেই ওলামা সমাজ রাষ্ট্র ও সরকারের কাছে বিচার দাবী করেন।
আজ (১৯ মে) বৃহস্পতিবারএক বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ ও সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম এসব কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, তথাকথিত গণতদন্ত কমিশনের প্রধান, ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারী সাবেক বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে ১১৬ ধর্মীয় বক্তা ও ১০০০ মাদরাসার আলেমরা রাষ্ট্রের কাছে বিচার চান। মিডিয়া থেকে নিয়ে তার দুর্নীতি ও অপকর্মের প্রতিবেদন তৈরি করে বিচারের মুখোমুখি করুন। নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের মুক্তিযোদ্ধারা মরে যায়নি, মানিকদের মত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কারণেই দেশ আজ রসাতলে। মানিক গংরা মুক্তিযুদ্ধের সময় লন্ডনে বসে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে পুরো মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে।
তারা বলেন, গণকমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। মানি লন্ডারিং (মুদ্রা পাচার), বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় আইন ভঙ্গ ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সম্পদের হিসাব গোপন এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের শপথ ও আচরণবিধি ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট ২৯টি অভিযোগ করেছিলেন একটি দৈনিকের সম্পাদক। কাজেই মানিক-তুরিন গংদের বিচার না করলে জনসেন্টিমেন্ট সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিতে পারে, যা সরকারের জন্য কল্যাণকর হবে না।