রহমত ডেস্ক 14 May, 2022 04:48 PM
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, শ্রীলঙ্কা-শ্রীলঙ্কা বলা হচ্ছে, কিচ্ছুই হবে না। যদি না শ্রীলঙ্কাকে মালা দিয়ে বাংলাদেশে বয়ে আনা হয়। সেটা অন্য বিষয়। তবে সেটা বাংলার মানুষের স্বার্থে হবে না। শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করতে যেসব বিধান রয়েছে সেগুলো আমরা অনেক সময় প্রয়োগ করতে পারি না। শ্রমিকের পূর্ণ পাওনা দেওয়া হচ্ছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। অবিশ্বাস্য! একদমই বিশ্বাস করি না। যেটা আছে সেটা একটা আপসমূলক অবস্থা। এই আপসমূলক অবস্থাকে আর একটু মসৃণ করার, টেকসই করার চেষ্টা আমরা করছি।
আজ (১৪ মে) শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত ‘প্রসঙ্গ জাতীয় বাজেট; শ্রমিকদের জন্য কেমন বাজেট চাই’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনা করেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস ফেডারেশন সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, বিকেএমইএ কার্যকরী সভাপতি মো. হাতেম, সিপিডি পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম, ডিইউজের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য প্রমুখ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, শ্রমিকদের রেশনিংয়ের আওতায় আনতে পারলে কল্যাণ আছে, কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ে পুরো প্রক্রিয়াকে সঠিকভাবে পৌঁছানো নিয়ে সংশয় রয়েছে। কেউ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করবেন না। রাজনৈতিক অস্থিতিশীল তৈরি হলে আপনাদের (বিরোধিতাকারীদের), আমাদের সকলের ক্ষতি হবে। রেশনিং বিরাট একটা ব্যবস্থাপনার বিষয়। আমাদের দেশে যত বেশি প্রসার, তত বেশি লিকেজ, এটা আমরা স্বীকার করি। এই যে প্রণোদনা হিসেবে সরকার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল, সেটা পদে পদে, চুইয়ে চুইয়ে শেষ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। রেশনিংয়ে একটা কল্যাণ আছে, আমি মানি। কিন্তু এটাকে প্রান্তিক পৌঁছানোর ব্যাপারে আমার সংশয় আছে। আরও সহজ উপায় আমার মাথায় আছে।