মুফতী দিলাওয়ার বিন গাজী 26 April, 2022 03:19 PM
রমজান মাসের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ দিন হলো শেষ ১০ দিন। কেননা এ দশকেই আছে পবিত্র লাইলাতুল কদর। বিশেষ হিকমতের কারণে লাইলাতুল কদরের দিনক্ষণ ঠিক করে দেওয়া হয়নি। তবে শেষ দশকের যেকোনো বিজোড় রাতই হতে পারে ফজিলতপূর্ণ এই রজনী। তাই এই বিজোড় রাতগুলোর সঠিক মুল্যায়ন করার জন্য আমরা ৪টি টিপস মেনে চলতে পারি।
১। ইমামের সাথে জামাতে ঈশা, তারাবীহ, বিতির ও ফজর আদায় করুন।
কেননা রাসূল সঃ ইরশাদ করেন:
" إِنَّهُ مَنْ قَامَ مَعَ الإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ كُتِبَ لَهُ قِيَامُ لَيْلَةٍ "
"যে ব্যক্তি ইমাম নামায থেকে ফেরা পর্যন্ত তাঁর সাথে থেকে নামায আদায় করলো, তার জন্য পুরো রাতে ইবাদতের ছোয়াব লিপিবদ্ধ করা হয়।" সুনানে তিরমিযী: হাদীস নং-৮০৬।
চেষ্টা করবেন এই বিজোড় রাতে অতিরিক্ত অন্তত দুই রাকাত নামায আদায় করতে যা হাজার মাস দুই রাকাত করে নামায পড়ার সমতুল্য।
২। এ রাতে অন্তত ১০০ আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করুন। এর দ্বারা পূর্ণ রাতের ছোয়াব পাওয়া যাবে। অন্তত বিশুদ্ধভাবে ছোট কিছু সূরা হলেও তিলাওয়াত করুন যা আল্লাহর সাথে কথোপকথনের শামিল।
৩। কিছু অর্থ দান করুন।
আপনি যদি এই রাতে দশটি টাকাও দান করেন তা হাজার মাস যাবত দশ টাকা করে দান করার ছোয়াব পাওয়া যাবে।
كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَجْوَدَ النَّاسِ وَكَانَ أَجْوَدُ مَا يَكُونُ فِي رَمَضَانَ
রাসূল সঃ মানুষের কল্যাণে অনেক দান করতেন। রমযানে এ দানের পরিমাণ হতো অত্যধিক। সহী বুখারী: হাদীস নং- ৬
৪। অধিক পরিমাণে তাওবা-ইস্তেগফার করুন আর নিম্নের দোয়াটি বেশি বেশি পড়ুন:
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي "
সুনানে তিরমিযী ৩৫১৩ নং হাদীসে বর্ণিত-عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ عَلِمْتُ أَىُّ لَيْلَةٍ لَيْلَةُ الْقَدْرِ مَا أَقُولُ فِيهَا قَالَ " قُولِي اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي "
আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমি “লাইলাতুল কদর" জানতে পারি তাহলে সে রাতে কি বলব? তিনি বললেনঃ “তুমি বল, হে আল্লাহ! তুমি সম্মানিত ক্ষমাকারী, তুমি মাফ করতেই পছন্দ কর, অতএব তুমি আমাকে মাফ করে দাও।