রহমত ডেস্ক 22 April, 2022 09:30 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পরিবেশ রক্ষায় দেশের মানুষ সচেতন নয়, ঢাকা শহরে দুই কোটি মানুষ বাস করে। সবাই মনে করে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব শুধু সিটি করপোরেশনের। এইভাবে তো একটা শহর কোনোভাবে বসবাস উপযোগী রাখা সম্ভব না। আমি নিজে কখনো পলিথিন ব্যবহার করি না। পলিথিন বন্ধে একটা আইন আছে, কিন্তু এখন সবকিছুতে পলিথিন দেওয়া হয়। কিছুদিন অভিযান পরিচালনা করে আবার হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। মানুষ যদি পলিথিন না নিতো তাহলে আসতো না। মানুষকে সচেতন করতে হবে। না হলে কোনো কিছুই রক্ষা পাবে না। পরিবেশ রক্ষা এই গুরুত্ব সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হবে।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস ২০২২’ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত পৃথিবীকে রক্ষা করতে বাস্তুসংস্থানসমূহ নিরাপদ করি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও উপ-কমিটির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চোরম্যান অধ্যাপক বজলুল হক খন্দকার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সেন্ট্রাল ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আতিক রহমান। উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নাসরিন আহমেদ, বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সাইন্স অ্যান্ড ইন্ডস্ট্রিয়াল রিসার্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আফতাব আলী শেখ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই পৃথিবীর মালিক কিন্তু শুধু আমরা নই, ছোট্ট পিঁপড়া থেকে শুরু করে অন্য প্রাণীরাও এর মালিক। পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ আামাদের প্রয়োজনে আমরা ব্যবহার করছি, কিন্তু ভবিষ্যতে আমাদের প্রয়োজন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। এক সময় ডাইনোসর পৃথিবী দাপিয়ে বেড়িয়েছে। সেই ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আজকে পৃথিবী উষ্ণ হচ্ছে। এই যে তাপমাত্রা বাড়ছে এটা আমাদের কারণে বাড়ছে। শুধু তাপমাত্রা বাড়ছে না, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে, বরফ গলছে, আরও অনেক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। এগুলো পৃথিবীর উষ্ণায়নের কারণে ঘটছে।
তিনি আরো বলেন, প্রকৃতির ওপর যে অত্যাচার আমরা করছি, এরপরও কিন্তু পরিবেশ আমাদের প্রতি বিরূপ হয়নি। যারা নিজের স্বার্থে পরিবেশ ও প্রকৃতি ধ্বংস করছে, যারা বড় বড় শিল্পপতি, তাদের স্বার্থে শিল্প উৎপাদনের জন্য পরিবেশ-প্রকৃতি মাথায় না রেখে নদীকে গলা টিপে মারছে, তারা দেশ, জাতি ও মানুষের শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ব ধরিত্রী দিবস নিয়ে আজ দুএকটি ছাড়া কোনো পত্র-পত্রিকা এমনকি কোনো টেলিভিশনেও প্রতিবেদন দেখলাম না। তাতে আমি হতাশ হয়েছি। ধরিত্রী দিবসে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।