রহমত ডেস্ক 21 April, 2022 09:08 PM
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন না থাকায় শ্রমিকরা লাঞ্চিত-বঞ্চিত ও অবহেলিত। বিভিন্ন মিল-কারখানায় সামান্য অজুহাতে শ্রমিক হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। ঈদের আগেই শ্রমিকদের বকেয়া ও বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে হবে। মাহে রমজান আসছে তাকওয়া অর্জনের জন্য। রমজানের শিক্ষা নিয়ে তাকওয়াভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।
আজ আজ (২১ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার বিকালে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত “মালিক শ্রমিকের সম্পর্ক উন্নয়নে মাহে রমাযানের ভুমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা খলিলুর রহমান, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, সেক্রেটারী জেনারেল হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান, মুফতি মোস্তফা কামাল, আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম, এইচ এম রফিকুল ইসলাম, যুবনেতা আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ছাত্রনেতা শেখ মু. আল আমিন, সৈয়দ ওমর ফারুক, ওবায়দুর রহমান মোস্তফা, এইচএম সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক আব্দুল কীরম, আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, আলহাজ্ব কামাল, শহিদুল ইসলাম, ওবায়দুল্লাহ বরকত প্রমুখ।
চরমোনাই পীর বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। টিপ পরা নিয়ে দেশময় তুলপার হয় কিন্তু হিন্দু শিক্ষিকা ১৮জন মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরায় পেটানোর প্রতিবাদ হয় না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নামাজ পড়েন, তাহাজ্জুদ পড়েন, অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের নামাজ পড়তে দেয়া হয় না। একটি মহল নামাজ পড়াকে মৌলবাদী বলে গালি দিচ্ছে, তাহলে প্রধানমন্ত্রীও কী মৌলবাদী? এধরণের ইসলামবিদ্বেষীদের ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। ক্ষমতা ও রাজনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লড়াই দৃশ্যমান। যার বলি হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঠুনকো ইস্যুকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের উপর প্রশাসনের বর্বরোচিত হামলা দুঃখজনক। তিনি ঢাকা কলেজ ও নিউমার্কেট ব্যবসায়ীদের মধ্যে চলমান ঘটনার তদন্ত চেয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।