রহমত ডেস্ক 15 April, 2022 11:13 AM
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, ষোড়শ শতকে মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে ফসল রোপণ ও কর আদায় সহজ করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয় বাংলা বর্ষপঞ্জি। হালখাতা ও পিঠাপুলি উৎসবের মাধ্যমে আবহমানকাল থেকে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়ে আসছে। মাত্র তিন দশক থেকে একটি মহল মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে মনগড়া ও নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতীক ব্যবহার করে সার্বজনীন বাঙালি সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র উৎসব ও জাতিসত্তার ধর্মীয় বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করছে। এখানে মঙ্গল শোভাযাত্রার অনুমতি মিললেও ঢাবিতে মহিলাদের নামাজের অনুমতি হয় না। নামাজের জায়গা উচ্ছেদ করা হয়। এধরণের দ্বৈত্যনীতি শাসকগোষ্ঠীর জন্য ভয়ানক পরিণতি বয়ে আনবে। মঙ্গল শোভাযাত্রার অনুমতি আর নামাজের জায়গা উচ্ছদ দেশের জন্য অশুভ ইঙ্গিত।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানী ঢাকার ধুপখোলাস্থ মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন সেন্টারে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের গেন্ডারিয়া থানা শাখার উদ্যোগে ‘মাহে রমজানের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা, নবাগত সদস্য সম্মেলন ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা ইমতিয়াজ বলেন, এককালের পহেলা বৈশাখের আনন্দ মিছিলকে বর্তমান সময়ে হিন্দুয়ানী মঙ্গল শোভাযাত্রায় পরিণত করা হয়েছে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের পরামর্শে আমদানি করা হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি কৌশলে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে দেশব্যাপী। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের বিশ্বাস ও বাঙালি সংস্কৃতি পরিপন্থী হিন্দুয়ানী বুদ্ধিজীবীদের পরামর্শে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রচলন করা হয়। যা চরম ইসলামবিদ্বেষী।
তিনি বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বোধ-বিশ্বাসকে উপেক্ষা করে বাঙালি সংস্কৃতির নামে ব্রাক্ষ্মণ্যবাদী সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার নীল নকশা চলছে। মঙ্গল শোভাযাত্রার আশ্রয়ে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে নিজস্ব সংস্কৃতির স্বকীয়তা নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রার বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই। তাই হিন্দুত্ববাদী মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধ করতে হবে। তিনি দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এখনও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি সরকার। ফলে মাহে রমজানের শিক্ষাকে কলুষিত করা হচ্ছে।