রহমত ডেস্ক 10 April, 2022 07:46 AM
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, 'বাংলাদেশের মুসলিম ভাইয়েরা ধর্মপরায়ণ, জঙ্গি নয়। এ দেশের মানুষ ধর্মপরায়ণ, এখানে নাস্তিক নেই। বাংলাদেশের মানুষের ওপর এই অপবাদ দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ টিকে আছে, আবারো ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। তাই পশ্চিমাবিশ্বসহ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সংস্থাগুলোকে বলব, যে দেশে জঙ্গি-ই নেই, সেখানে জঙ্গি নির্মূলেরও কোনো প্রয়োজন নেই।’
শনিবার (৯ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের সাহসী যোদ্ধা তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম জাকিরের সন্ধান দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, দেশকে এই আওয়ামী লীগ সরকার যেখানে নিয়ে গেছে, সেখান থেকে সঠিক ট্রাকে ফেরাতে হলে জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। দেশে গণতন্ত্র নেই, মানবাধিকার নেই, আইনের শাসন নেই। এই রাষ্ট্রকে মেরামত করতে হলে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিদের নিয়ে নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করা অপরিহার্য। এ জন্যই বিএনপি নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ সরকার এবং নির্বাচনের পরে জাতীয় সরকারের কথা বলছে।
গয়েশ্বর বলেন, বিএনপির একটি শব্দ ষড়যন্ত্রকারীদের স্তব্ধ করে দিয়েছে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শব্দটি বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করেছেন। তা হচ্ছে নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং সেই নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে অথবা গণতন্ত্রের পক্ষে যারা থাকবে তাদের নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব।
বিএনপির এই নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১০ এপ্রিল প্রবাসী সরকার গঠন করা হলো। ২৬ মার্চ থেকে তার আগ পর্যন্ত কার নেতৃত্বে দেশে যুদ্ধ হয়েছে? জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধ হয়েছে। দেশ স্বাধীনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে পুনর্গঠন করতে একটি জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা ছিল। কিন্তু ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করলাম সবাই, সরকার গঠন করল আওয়ামী লীগ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সরকার গুম, খুন, লুটপাট, মানবপাচার, নারীপাচার, মুদ্রাপাচার- সবকিছুতেই পারদর্শী। একটি সরকারের অপকর্মের সমালোচনা করা যাবে না- এটা আমাদের সংবিধানে নেই। কিন্তু সমালোচনা করলে নির্যাতন নেমে আসে।