| |
               

মূল পাতা জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ৭ দফা সুপারিশ করেছে টিআইবি


নির্বাচন কমিশনকে ৭ দফা সুপারিশ করেছে টিআইবি


রহমত ডেস্ক     22 March, 2022     08:14 PM    


সরকারি আনুগত্য ও প্রভাবের ঊর্ধ্বে থেকে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করে অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কার আনাসহ নির্বাচন কমিশনকে সাত দফা সুপারিশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি। আজ (২২ মার্চ) মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সুপারিশসমূহ তুলে ধরেন। সংস্থাটির এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

টিআইবির সুপারিশগুলো হলো : ১. আজকের আয়োজনটি যেন কেবল আনুষ্ঠানিকতা না হয়, এটি যেন একটি প্রক্রিয়ার প্রথম পদক্ষেপ হয়। যে সকল প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ধারাবাহিক গবেষণা ও অধিপরামর্শমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে, তাদের পর্যায়ক্রমে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত করে স্বল্প ও মধ্যম মেয়াদি সুনির্দিষ্ট পথরেখা প্রণয়ন করা উচিত।

২. নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে সরকারি আনুগত্য ও প্রভাবের ঊর্ধ্বে থেকে তার অবস্থান ও কর্মকাণ্ডে নিজেকে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়, বরং একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রমাণ করতে হবে। এক্ষেত্রে, সরকারি আনুগত্যমূলক মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান পরিহার করে রাষ্ট্রীয় আনুগত্যের চর্চা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

৩. কমিশনের দায়িত্ব পালনে যে আইন ও বিধিমালা রয়েছে, তা পর্যাপ্ত কি না, তা বস্তুনিষ্ঠভাবে বিশ্লেষণ করে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কারের প্রস্তাব করুন। এমন প্রস্তাব বিবেচিত হতে পারে যেন নির্বাচনকালীন সরকার, জনপ্রতিনিধি হিসেবে অধিষ্ঠিত থেকে নির্বাচন করা, এ ধরনের বিতর্কিত বিষয়ে সমঝোতা অর্জন সম্ভব হয়।

৪. নির্বাচন কমিশন এককভাবে নির্বাচন আয়োজন করে না। এক্ষেত্রে, নির্বাচনকালীন সরকার, প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন অংশীজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে যেহেতু আইনগতভাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এ সকল প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে সুনির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত, সেজন্য কমিশনকেই সৎ সাহসের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

৫. নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আগ্রহী সকল দেশি-বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে অবাধে অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

৬. বিগত নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ও এমনকি আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি বরাবর কমিশনের অপসারণের যে আবেদন উত্থাপিত হয়েছিল, তার পূর্বাপর বিশ্লেষণ করে এ ধরনের পরিস্থিতি যেন পুনরায় উদ্ভব না-হয়, তা নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিন।

৭. জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নির্ভরযোগ্য সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত ও বিশ্লেষণ উপেক্ষা করে ঢালাওভাবে ব্যাপকবিতর্কিত নির্বাচনকে ‘নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পেরেছি’- এরূপ অবাস্তব দাবি করা ও বিব্রতকর অস্বীকারের চর্চা পরিহার করতে হবে। এক্ষেত্রে নিজেকে আয়নার মুখোমুখি করে, ব্যর্থতার ক্ষেত্রে দায় স্বীকারে সৎসাহসের পরিচয় দিতে হবে