রহমত ডেস্ক 19 March, 2022 10:17 PM
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেন, বরিশাল বিমানবন্দর হবে সবথেকে আধুনিক ও যুগোপযোগী। আর বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর বিমানবন্দর। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। আমরা প্রকল্প নিচ্ছি বরিশাল বিমান বন্দরের রানওয়ে অনেক বড় হবে এবং টার্মিনাল হবে সবথেকে অত্যাধুনিক। আমি প্রধনানমন্ত্রীর কাছে অর্থ বরাদ্দের জন্য অনুরোধ জানাবো। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে- বাংলাদেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে যাতে ২৪ ঘন্টা বিমান ওঠানামা করতে পারে সেধরণের ব্যবস্থা নেয়া। আমরা অনেকগুলোতে এ ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে কোভিডের কারনে বিদেশ থেকে স্পেশালাইজড লোক আসতে না পারায় আমরা অনেকগুলো কাজ সমাপ্ত করেও চালু করতে পারিনি। বরিশালেও যাতে ২৪ ঘন্টা ফ্লাইট ওঠানামা করতে পারে সে কাজ একই সাথে করবো।
আজ (১৯ মার্চ) শনিবার বরিশাল বিমানবন্দর ও বিমানবন্দর সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী-এমপি,সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা-এমপি বিমান বন্দর ও এর পার্শবর্তী ভাঙ্গণ কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা বিমান বন্দর ও এর পার্শবর্তী ভাঙ্গণকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাংলাদেশের সবগুলো বিমানবন্দরেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বরিশাল বিমানবন্দরে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেক আন্তরিক। ওনার নির্দেশনায় বরিশাল বিমানবন্দরের রানওয়ে ওভার-লে করণ কাজে খুব শীঘ্রই হাত দিচ্ছি। যাতে বিমানের স্মুথ ল্যান্ডিং হয়। একই সাথে বড় বিমান যাতে নামতে পারে সেজন্য রানওয়েকে আরো সাড়ে ৭ শত ফিট বাড়ানোর প্রকল্প আমরা হাতে নেবো। পাশাপাশি এখানে অত্যাধুনিক একটি নুতুন টার্মিনাল করার কাজ খুব দ্রুত হাতে নিবো। সবমিলিয়ে বরিশাল বিমানবন্দর নিয়ে আমাদের একটি মেজর প্রজেক্টর রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের এভিয়েশন সেক্টর নিয়ে বঙ্গবন্ধুর অনেক স্বপ্ন ছিলো। আজ তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে সারাদেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সর্বাধুনিক করা হচ্ছে। চাঙ্গি, হিথ্রো, জেএফকে বিমানবন্দর দেখে আমরা প্লান করেছি। তাই আধুনিক একটি বিমানবন্দর আমরা হয়তো সেপ্টেম্বর ২০২৩ এ উদ্বোধন করতে পারবো। চট্টগ্রাম ও সিলেট এর বিমানবন্দকে আন্তর্জাতিক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক এবং আভ্যন্তরীন সবকিছুতে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। আর বরিশাল যেহেতু বড় অবস্থানে রয়েছে, তাই এই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রুপ দেয়ার জন্য সমস্ত পরিকল্পনাই হাতে নেয়া হবে। এ বিমানবন্দরসহ দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে যাতে বড় বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে পর্যায়ক্রমে। এছাড়াও রাত দিন ২৪ ঘন্টা বিমান নামতে-উঠতে পারে সেই লক্ষেও সবগুলো বিমানবন্দরে পর্যায়ক্রমে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।