| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক জাতিসংঘে ‌‘ইসলামভীতি’ প্রতিরোধ দিবসের প্রস্তাবনা গৃহীত


জাতিসংঘে ‌‘ইসলামভীতি’ প্রতিরোধ দিবসের প্রস্তাবনা গৃহীত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক     17 March, 2022     04:44 PM    


জাতিংসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক ইসলামভীতি প্রতিরোধ দিবস পালনের প্রস্তাবনা গৃহীত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন-ওআইসির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের প্রস্তাবনায় জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের সম্মতিতে তা গৃহীত হয়। তাছাড়া ৫৫টি মুসলিম প্রধান দেশ এ প্রস্তাবনায় সহায়তা করে।

সহনশীলতা ও শান্তিচর্চায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার জোরদারের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবনায় বলা হয়, মানবাধিকার ও ধর্ম-বিশ্বাসের বৈচিত্রময়তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সব ক্ষেত্রে সহনশীলতা ও শান্তির সংস্কৃতি প্রচারে বিশ্বব্যাপী সংলাপকে উন্নীত করতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তাছাড়া ১৯৮১ সালে জাতিসংঘের রেজুলেশনের আলোকে সব ধরনের অসহিষ্ণুতা দূরিকরণ এবং ধর্ম ও বিশ্বাস ভিত্তিক বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানানো হয়। তাছাড়া বিবৃতিতে ধর্ম বা বিশ্বাসের ভিত্তিতে মানুষের বিরুদ্ধে পরিচালিত সব ধরনের সহিংসতা ও উপাসনালয়, ধর্মীয় স্থানে হামলার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করা হয়। এসময় সব সদস্য রাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক-আঞ্চলিক সংস্থা ও সংগঠনকে ইসলামভীতির ঘটনা মোকাবেলায় সব স্তরে সচেতনা বৃদ্ধিতে সহায়তার আহ্বান জানানো হয়।

#UNGA proclaims 15 March the International Day to Combat Islamophobia.

General Assembly calls for strengthened international efforts to foster global dialogue on promotion of culture of tolerance & peace, based on respect for human rights & for diversity of religions & beliefs. pic.twitter.com/DTf2dLYNeB

— United Nations (@UN) March 16, 2022

সাধারণ পরিষদে জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের প্রতিনিধি মুনির আকরাম বলেন, বর্তমানে ইসলামফোবিয়া একটি ‘বাস্তবতা’ হয়ে উঠেছে। তা বিশ্বের নানা স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। মুসলিমদের প্রতি ব্যক্তি ও সম্প্রদায় পর্যায়ে এ ধরনের বৈষম্য, শত্রুতা ও সহিংসতা সংবিধানপ্রদত্ত মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন এবং তাদের ধর্ম ও বিশ্বাসের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের শামিল। বর্তমানে তা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। কারণ জেনোফোবিয়া, নেতিবাচক প্রোফাইল ও মুসলিমদের স্টেরিওটাইপের মতো নানান আচরণ বর্ণবাদের নতুন রূপ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। 

এর আগে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন-ওআইসির এক সভায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তারিও গুতরেস বলেন, সারাবিশ্বে মহামারির মতো মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা ও বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত সারাবিশ্বে হুমকির মুখে পড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সংরক্ষণে আমাদের কাজ করা জরুরি। ওআইসির পক্ষ থেকে এই দিবস ঘোষণার এ প্রস্তাব পেশ করেছিল পাকিস্তান। কারণ ২০১৯ সালের ওই দিন এক বন্দুকধারী নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে হামলার ঘটনায় ৫১ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়।

I want to congratulate the Muslim Ummah today as our voice against the rising tide of Islamophobia has been heard & the UN has adopted a landmark resolution introduced by Pakistan, on behalf of OIC, designating 15 March as International Day to Combat Islamophobia.

— Imran Khan (@ImranKhanPTI) March 15, 2022

এদিকে ১৫ মার্চকে ইসলামফোবিয়া প্রতিরোধ দিবস ঘোষণার সিদ্ধান্তে জাতিসংঘকে স্বাগত জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এক টুইট বার্তায় সারা বিশ্বের মুসলমানদের অভিনন্দন জানিয়ে ইমরান খান বলেন, ইসলামোফোবিয়ার ক্রমবর্ধমান জোয়ারের বিরুদ্ধে আমাদের আওয়াজ শোনা গেছে। অবশেষে আজ বিশ্বের সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জকে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। তা হলো, ইসলামভীতি, ধর্মীয় প্রতীক ও অনুশীলনের প্রতি শ্রদ্ধা, পদ্ধতিগতভাবে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্য হ্রাস করা। পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হলো, এ ঐতিহাসিক রেজুলেশন বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

সূত্র : আল জাজিরা