রহমত ডেস্ক 14 March, 2022 06:13 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সরকার তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করছে। আপনার মন্ত্রীরা হেসে বলে দাম যেমন বেড়েছে মানুষের আয়ও তেমনি বেড়েছে। আজকে অবলীলায় মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনারা জানেন আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র সম্পর্কে কী করেছে, নির্বাচন সম্পর্কে কী করেছে। নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে যাতে আরেকটি সেরকম নির্বাচন করা যায়। এবার মানুষ এটা শুনবে না। এবার মানুষ রুখে দাঁড়াবে ইনশাআল্লাহ, আমরা এটা বিশ্বাস করি।
আজ (১৪ মার্চ) সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মোহম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবেদিন ফারুক, চেয়ারপারসন বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা জসিম উদদীন মওদুদ প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, তার সাথে আমার একসাথে ছাত্র রাজনীতি করার সৌভাগ্য হয়েছিল। ব্যক্তিগতভাবে তার সাথে আমার সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের এবং রাজনীতিতে এসে সম্পর্ক আরো নিবিড় হয়েছে। আমরা যে কী হারিয়েছি সত্যিকার অর্থে বিএনপির কথা বলছি না এই বাংলাদেশ একজন জ্ঞানী, গুণী, প্রকৃতি অর্থে একজন রাজনীতিককে হারিয়েছে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ আপাদমস্তক একজন গণতান্ত্রিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন, ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি জেলে গেছেন। এছাড়া প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি অবদান রেখেছেন। তিনি কখনো মাথা নত করেননি। আজকাল রাজনীতিতে জ্ঞানীকে মূল্যায়ন করা হয় না, বর্তমান রাজনীতি হচ্ছে একটি নষ্ট রাজনীতি। এখানে কোনো জ্ঞানী লোককে সুযোগ দেয়া হয় না, কাছেও আসতে দেয় না, নামও উচ্চারণ করা হয় না। আজকে কবি জসীমউদ্দীনকে কেউ স্মরণ করে না, আমরাও করি না। এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পল্লী কবি ছিলেন জসীমউদ্দীন, এখনো তিনি জনপ্রিয় হয়ে আছেন।
তিনি আরো বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ কখনো পরাজিত হয়নি। এদেশের মানুষ রুখে দাঁড়াবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে এবং গণতন্ত্রের যিনি সারাটা জীবন লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আজকে মিথ্যা মামলায় বন্দি রয়েছেন। তাকে আমাদের মুক্ত করতে হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের ৩৫ লাখ মানুষ, যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা তারা দিয়েছে, তাদেরকে মামলা প্রত্যাহার করে মুক্ত করতে হবে।