মূল পাতা আন্তর্জাতিক মসজিদের লাউডস্পিকার নামিয়ে ফেলার হুমকি দিলেন হিন্দুনেতা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 13 March, 2022 02:04 PM
মসজিদের লাউডস্পিকার নামিয়ে ফেলার হুমকি দিয়েছেন ভারতে বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশে হিন্দু যুব বাহিনীর নেতা আয়ুষ ত্যাগী । শনিবার (১২ মার্চ) হিন্দি গণমাধ্যম ‘জনসত্তা’য় এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
উত্তর প্রদেশে সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে ফের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি। এ সময়ে, গাজিয়াবাদের হিন্দু যুব বাহিনীর জেলা সভাপতি আয়ুষ ত্যাগীর বিতর্কিত বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, আয়ুষ ত্যাগী তার সহকর্মীদের সাথে কিছু লোককে সম্বোধন করছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনকে মোবাইল থেকে ভিডিও করতে দেখা যায়। এ সময়ে বিতর্কিত মন্তব্যে ওই হিন্দুত্ববাদী নেতা বলেন, ‘মসজিদের লাউডস্পিকার খুলে ফেলুন, অন্যথায় হিন্দু যুব বাহিনী মসজিদে ঢুকে লাউডস্পিকার নামিয়ে দেবে।’ এ ধরণের মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতে তার বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাটি গত (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার বলে বলা হচ্ছে। এ সময়ে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ে মুরাদনগরে মিছিল করেছে হিন্দু যুব বাহিনী। দিল্লি-মীরাট রোডের বাস স্ট্যান্ডের কাছে হিন্দু যুব বাহিনীর দফতরে জনগণের সামনে বক্তব্য রাখার সময়ে গাজিয়াবাদের হিন্দু যুব বাহিনীর জেলা সভাপতি আয়ুষ ত্যাগী এসব কথা বলেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশ, আয়ুষ ত্যাগীর বক্তব্য ভাইরাল হওয়ায় পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আয়ুষ ত্যাগীর পাশাপাশি বিজেপি বিধায়ক নন্দ কিশোর গুর্জরের বিতর্কিত বক্তব্যও ভাইরাল হচ্ছে। তিনি বলেছেন, এলাকায় কোনও গোশতের দোকান চলতে দেওয়া হবে না। দ্বিতীয়বার বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর পৌরসভার কাউন্সিলর, কর্মচারী ও অন্যান্যদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছিলেন লোনী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নন্দ কিশোর গুর্জর।
এ সময়ে তিনি বলেন, এ ধরণের অন্যায়কারীদের সঙ্গে কিছু পুলিশ সদস্য কাজ করে। এখান থেকে তারা বিছানাপত্র বেঁধে চলে যাবে। ‘না আলী, না বাহুবলী, লেনিতে শুধু বজরংবলী’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন। নির্বাচনের সময় ওই স্লোগানটি বেশ আলোচিত হয়েছিল।
হিন্দি গণমাধ্যম ‘নবভারত টাইমস’ জানিয়েছে, বিজেপি বিধায়ক তার বিবৃতিতে বলেছেন, কর্মকর্তারা শুনুন, যদি কারও সুরক্ষায় কোনও গোশতের দোকান চলে, তবে অবিলম্বে তা বন্ধ করুন। এটা না করলে ওই কর্মকর্তা লোনিতে থাকতে পারবেন না। লোনিতে গোশত কাটা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। লোনিতে শুধু দুধ-ঘির নদী বয়ে যাবে। এবং গো-সংরক্ষণ এবং গো-সংবর্ধন হবে বলেও বিজেপি বিধায়ক নন্দ কিশোর গুর্জর মন্তব্য করেন।
-পার্সটুডে