| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘কোন ষড়যন্ত্রই দেশের উন্নয়নের গতি থামাতে পারবে না’


‘কোন ষড়যন্ত্রই দেশের উন্নয়নের গতি থামাতে পারবে না’


রহমত ডেস্ক     03 March, 2022     08:37 PM    


আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া হলেও এই প্রক্রিয়া এমনিতেই চলে না, একে চালাতে হয়। এটিকে ভালভাবে চালাতে হলে অবশ্যই দক্ষ চালকের প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ চালকের আসনে থাকার কারণেই দেশের সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তিনি ক্ষমতায় থাকলে এই উন্নয়ন চলমান থাকবে। কোন ষড়যন্ত্রই এই উন্নয়নের গতি থামাতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা ও গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই পদ্মা সেতু, কর্নফুলী ট্যানেল, মেট্টোরেল, ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, রূপপুর পারমানবিক প্রকল্পসহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে। বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। তাই দেশের সকল মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করে তাঁর হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।

আজ (৩ মার্চ) বৃহস্পতিবার বরিশালে ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত দশ তলা বিশিষ্ট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুচ, বরিশালের জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলাম, বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মইদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন এমন একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগের, যেখানে বিচারপ্রার্থী জনগণ ভোগান্তিহীনভাবে দ্রুত ন্যায়বিচার পাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্ন পূরণে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং উক্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিচার বিভাগের জন্য অত্যাধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ করছে। এজন্য ২,৪৬৫ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দেশের জেলা শহরগুলোতে ৮ বা ১০ তলা বিশিষ্ট সিজেএম আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় বরিশালে ৪৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ তলা বিশিষ্ট সিজেএম আদালত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ভবনের নির্মাণ ব্যয়, নির্মাণ শৈলী, আয়তন এবং সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করলে নিশ্চয়ই বলা যায় এটি বরিশালের মাটিতে বিচার বিভাগের এক অনন্য স্থাপনা এবং মুজিববর্ষে বরিশালবাসীকে দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের একটি বড় উপহার।

তিনি বলেন, এই উপহার দিতে পেরে সরকার অত্যন্ত আনন্দিত, গর্বিত ও তৃপ্ত। কারণ ২০০৭ সালের ১লা নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হওয়ার পর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসিতে অবকাঠামোগত যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল বরিশালে আজ থেকে তার সম্পূর্ণ সমাধান হলো। উক্ত প্রকল্পের কাজের ৮৫ ভাগ অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরে আনিসুল হক জানান, সরকার ১৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৭টি জেলায় পুরাতন জেলা জজ আদালত ভবনগুলোর উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করাসহ বহুমুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে। ফলে বিচার বিভাগের এজলাস সংকট তথা অবকাঠামোগত সমস্যা এখন অনেকটাই দূর হয়েছে। একটি আধুনিক ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ অত্যাবশ্যকীয় হলেও অন্যান্য সরকারের আমলে বিদেশী প্রশিক্ষণ গ্রহণ ছিলো বিচারকদের কাছে স্বপ্নের মতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বিদেশী প্রশিক্ষণ গ্রহণ তাদের স্বপ্ন নয় বাস্তবে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সাড়ে তিন বছরে ৮৫৫ জন বিচারককে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন ও জাপানে উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। দেশীয় প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। দেশেই বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে মাদারীপুরের শিবচরে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল একাডেমি গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।  ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত অধস্তন আদালতে ১,২২৪ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অধস্তন আদালতে অনেকগুলো নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিভাগীয় শহরগুলোতে একটি করে সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, একটি করে সাইবার ট্রাইবুনাল এবং একটি করে মানব পাচার অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছে।