রহমত ডেস্ক 02 March, 2022 01:21 PM
বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগে এক পাহারাদার গ্রেফতারের পর এবার সেই মর্গ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
বুধবার (২ মার্চ) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান।
তিনি বলেন, একসময় মর্গ না থাকায় আমাদের এটির প্রয়োজন ছিল। এখন কলেজের ফরেনসিক বিভাগের এখানে মর্গ আছে। যেসব মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রয়োজন হবে, আমরা সেগুলো পুলিশের মাধ্যমে সেখানে পাঠিয়ে দেবো। এটিকে আমরা সিকিউরিটি সেল বা স্টোর রুম হিসেবে ব্যবহার করবো। এটি আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে।
নারী ও শিশুর মরদেহের সঙ্গে যৌনাচারের অভিযোগে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ওই মর্গের পাহারাদার মো. সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রায় ১৫ বছর ধরে সেলিম মর্গে মরদেহ আনা-নেওয়া ও পাহারার কাজ চালিয়ে গেছেন। তবে গ্রেপ্তার হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, তিনি বহিরাগত ও ধূর্ত।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান বলেন, ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে ২০১৭ সালে গ্রেপ্তার হন সেলিম। এর পর দুই বছর জেল খাটেন। তার পর জামিনে ছাড়া পান। প্রচুর নেশা করেন সেলিম। হাসপাতালের কোনো কর্মচারী না হয়েও তিনি কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে মর্গে কাজ করছেন তা নিয়ে আমরা অনুসন্ধান করছি।
সিআইডি সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি নগরের চকবাজার থানা এলাকা থেকে আনুমানিক ৩২ বয়সী এক নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক মর্গে পাঠায় পুলিশ। একই বছরের ২৫ এপ্রিল ১২ বছর বয়সী এক কন্যাশিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক মর্গে পাঠানো হয়। মৃত্যুর পূর্বে ধর্ষণ হয়েছে কিনা জানার জন্য মর্গের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক মরদেহ দুটি থেকে বীর্যের নমুনা সিআইডির ল্যাবে পাঠান। সেখানে দুই মরদেহে একই ব্যক্তির বীর্য পাওয়া যায়।