| |
               

মূল পাতা জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত গণমাধ্যম আইন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন


সংসদে প্রস্তাবিত গণমাধ্যম আইন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন


রহমত ডেস্ক     27 February, 2022     09:33 PM    


চলমান একাদশ জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের অপেক্ষায় প্রস্তাবিত গণমাধ্যম আইন- ২০২২ বাতিলের দাবি জানিয়েছে সাংবাদিক নেতারা। বক্তারা প্রস্তাবিত আইনটির প্রত্যাহারসহ সাংবাদিকদের জন্য বিদ্যমান শ্রম আইন সংশোধন করে যুগোপযোগী করার দাবি জানান। এ ছাড়াও ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়া কর্মীদের জন্য আইন করে বিদ্যমান শ্রম আইনের সঙ্গে সংযুক্ত করার দাবি জানানো হয়।  আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) রবিবার বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে ‘জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট’ আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

গণমাধ্যম কর্মীদের ন্যায়বিচার, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও গবেষণাধর্মী সংগঠন ‘জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট’র সভাপতি কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল শাহিন বাবুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর খান বাবু। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সাহেদ চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আকতার হোসেন, সাবেক জনকল্যাণ সম্পাদক মেহেদি হাসান, বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক দপ্তর সম্পাদক বরুন ভৌমিক নয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম-সম্পাদক খায়রুল আজম, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদের সদস্য সচিব আবু সাঈদ, সিনিয়র সাংবাদিক কবি আব্দুল মান্নান, সাখাওয়াত হোসেন, টেলিভিশন ক্যামেরাপার্সন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক জীবন, শাহজাহান সাজু, নিউ নেশন ডিইউজে ইউনিয়ন প্রধান হেমায়েত হোসেন, গোপালগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ফাত্তাহ, ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোশারেফ হোসেন, সাংবাদিক নেতা মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে-একাংশের মহাসচিব দীপ আজাদ। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন- ২০২২ সংবাদ কর্মীদের অধিকার পরিপন্থী। এ আইন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্রের ফসল। আইনটি জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের আগে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন।

ডিইউজে’র সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন ২০২২ কোনো বিচারিক আদালত নেই এবং কোনো আইনে সাংবাদিকরা বিচার পাবে তা ঠিক করা হয়নি। নতুন আইনের নামে সাংবাদিক সমাজকে শ্রম দাসে পরিণত করা হচ্ছে। যে ধারাগুলো সংযোজিত হয়েছে, তা কোনভাবেই সাংবাদিকবান্ধব হতে পারে না। অবিলম্বে আইনটির খসড়া জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানান। গণমাধ্যমকর্মী আইন ২০২২ কোনভাবেই সাংবাদিক সমাজ মেনে নেবে না। আইনটির জন্য আরও পর্যালোচনার দাবি জানান তিনি।

ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম তপু বলেন, প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় বিদ্যমান শ্রম আইন বাতিল করে ইউনিয়ন বিলুপ্ত করাসহ সাংবাদিকদের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে কর্মরত ক্যামেরাপার্সনদের কলাকুশলী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা রীতিমত হাস্যকর। এটা মেনে নেওয়া যায় না।