| |
               

মূল পাতা জাতীয় শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা হবে : শিক্ষামন্ত্রী


শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা হবে : শিক্ষামন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     21 February, 2022     09:22 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই আমরা জ্ঞানের পাশাপাশি দক্ষতা নির্ভর যে শিক্ষাক্রম চালু করছি, সে দক্ষতা অর্জনে প্রযুক্তি যেমন হাতিয়ার হবে, তেমনিভাবে আমরা শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রযুক্তিবান্ধব প্রজন্ম হিসেবেও গড়ে তুলব। মাতৃভাষায় শিখবে শিশুরা। শিখবে বিজ্ঞান, আয়ত্ত করবে, উদ্ভাবন করবে নতুন নতুন প্রযুক্তি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যম হবে নিজ ভাষা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহৃত পরিভাষাই তারা শিখবে, যেন বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে এর অবাধ ব্যবহার সে করতে শেখে। বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগে তা যেন কোনো বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। পাশাপাশি বিদেশি ভাষা শিখবে প্রয়োজন অনুযায়ী।

আজ (২১ ফেব্রুয়ারি) সোমবার বিকালে ‘মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২’ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আয়োজিত চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স বিভাগের অধ্যাপক লাফিফা জামাল। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীকসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত অমর একুশে সারা পৃথিবীতে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার প্রতীক দিবসে পরিণত হয়েছে। বাঙালির একুশ তাই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। অমর একুশের ৭০ বছর পূর্ণ হলো। এ কাল পরিসরে আমাদের জাতীয় জীবনের সবক্ষেত্রে যে ব্যাপক উন্নয়ন ও অগ্রগতি প্রত্যাশিত ছিল তা হয়ত হয়নি। এর কারণ আমাদের অজানা নয়। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর ঘাতকদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উপস্থিতি আমাদের জাতীয় জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছিল।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বের সব মাতৃভাষা সংরক্ষণের লক্ষ্যে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করায় আমাদের মাতৃভাষার আন্দোলন ও চেতনা বিশ্বে প্রসারিত হয়েছে। এদেশের সব ভাষাভাষীর শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দেশের পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী- চাকমা, মারমা, গারো, সাদ্রী ও ত্রিপুরাদের মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিকের ১ম-৩য় শ্রেণির পাঠ্যবই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে সরাসরি সরকারি উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছে। এসব ভাষায় পাঠদানের জন্য শিক্ষক নিয়োগ অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত আছে। জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক ফোরামে আমাদের শিক্ষার অগ্রগতি ইতিবাচক বলে মূল্যায়ন করা হয়েছে। কিন্তু আত্মতুষ্টির অবকাশ নেই। নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতা এবং নৈতিকতা, সততা, নিষ্ঠা, সহমর্মিতা, মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।