মূল পাতা আন্তর্জাতিক উপমহাদেশ হিজাবের ‘পক্ষে’ যা বললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী
রহমত ডেস্ক 15 February, 2022 10:41 PM
হিজাব ইস্যু নিয়ে এখন পুরো ভারতেই আলোচনা চলছে। হিজাবের পক্ষে ও বিপক্ষে তর্ক-বিতর্ক চলছে। ভারতের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার জানিয়েছেন, তার রাজ্যে হিজাব নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। প্রত্যেক ধর্ম ও ধর্মের বিশ্বাস, সংস্কৃতিকে তিনি শ্রদ্ধা করেন। যদি মাথায় কেউ হিজাব পরে, কেউ যদি মাথায় চন্দন গাছের লেই লাগায় কোনো সমস্যা নেই। এটি বিতর্কিত কিছু নয়। কি পরবেন তা নির্ধারণ করার অধিকার প্রত্যেকটি মানুষের আছে। আমরা কারও ওপর হস্তক্ষেপ করব না। বিহারে আপনারা এমন কোনো কিছুই দেখতে পাবেন না।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে কর্ণাটকের এ হিজাব ইস্যু নিয়ে হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন ছয়জন ছাত্রী। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এখন হাইকোর্টে শুনানি চলছে। মঙ্গলবারও এ বিষয়টি নিয়ে আদালতে শুনানি হয়েছে। আদালত বুধবার আবার নতুন করে শুনানির দিন ঠিক করেছেন।
গত এক মাসের বেশি সময় ধরে কর্ণাটকের বিভিন্ন স্কুল কলেজে একদিকে হিজাব পরে ক্লাস করার অনুমতির দাবিতে আন্দোলন করছে মুসলিম ছাত্রীরা। অন্যদিকে হিন্দু শিক্ষার্থীরা গেরুয়া ওড়না পরে হিজাববিরোধী আন্দোলন শুরু করেছে। কর্ণাটকের স্কুল-কলেজে হিজাব পরা মুসলিম মেয়েদের ঢুকতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল, তা বর্তমানে দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যটির সীমানা ছাড়িয়ে দেশটির বাকি অংশেও ছড়িয়ে পড়েছে। হিজাবে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গে। মুখ খুলেছেন দেশটির বড় বড় রাজনীতিক ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বরাও। কর্ণাটকে এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছে গত মাসে উদুপি জেলার সরকারি বালিকা পিইউ কলেজে ছয়জন মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরার কারণে শ্রেণিকক্ষের বাইরে বসতে বাধ্য করার পর। সেই সময় কলেজ প্রশাসন জানায়, ইউনিফর্মের অংশ নয় হিজাব এবং ওই ছাত্রীরা কলেজের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। ছাত্রীদের ক্লাসে হিজাব পরার বিষয়ে আপত্তি জানায় স্থানীয় ডানপন্থী বিভিন্ন গোষ্ঠী ও তাদের ছাত্র সংগঠন। উদুপির এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের মান্দিয়া এবং শিভামোগগা এলাকায়। সেখানকার কলেজ কর্তৃপক্ষ হিজাব নিষিদ্ধ করে। যদিও আইনে হিজাব পরে মুসলিম ছাত্রীদের ক্লাসে আসতে কোনও বাধা নেই। পরে উদুপির একটি প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্রী হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই বিষয়েই কর্ণাটকের হাইকোর্টে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হিজাব সংক্রান্ত পিটিশনটি শুনানির জন্য বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট।