| |
               

মূল পাতা জাতীয় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বন্ধন আরো দৃঢ় হবে : খাদ্যমন্ত্রী


বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বন্ধন আরো দৃঢ় হবে : খাদ্যমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     07 February, 2022     10:32 PM    


খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারত-বাংলাদেশ কালচারাল মিট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহযোদ্ধা জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের স্মৃতিবিজড়িত রাজশাহীতে বাংলাদেশ-ভারত কালচারাল মিট অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। এ জন্য শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সুযোগ্যপুত্র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

আজ (৭ ফেব্রুয়ারি) সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নগর ভবনের গ্রিনপ্লাজায় ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া কালচারাল মিট’প্রস্তুতি কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ও অনুষ্ঠানের রূপরেখা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশ ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তিতে ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের আয়োজনে ২৫, ২৬, ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া কালচারাল মিট, রাজশাহী-২০২২। 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ সামাজিক জীব। আমরা যদি প্রতিবেশীর সঙ্গে সামাজিক সম্পর্ক রাখতে না পারি তাহলে কোনো দিনই আমরা উন্নতি করতে পারব না। সে কারণে আমি বলতে চাই, যে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের এক কোটি মানুষকে খাইয়ে আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করে ভারত আমাদেরকে অনেক এগিয়ে দিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর যে আহ্বান ছিল ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।’ এটা আমারা কোনদিন ভুলতে পারব না। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে এ কালচারটা শেষ হয়ে যাচ্ছিল। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা ভুলি নাই ভুলব না এই চিন্তা করেই এই সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং ভাষা আন্দোলনের মাসেই এই জায়গায় ভারত বাংলাদেশ কালচারাল মিট অনুষ্ঠান আমি মনে করি।

সভায় জানানো হয়, ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া কালচারাল মিট’-এর কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে মন্ত্রীবর্গ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ ও অন্যান্য অতিথিদের আগমন। ২৬ ফেব্রুয়ারি সিন্ডবি মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ এবং এদিন রাসিক মেয়রের পক্ষ থেকে ভারতীয় অতিথিদের নাগরিক সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। বিকালে উভয় দেশের অংশগ্রহণে রাজশাহী কলেজ মাঠে মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি বরেন্দ্র জাদুঘর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, পুঠিয়া রাজবাড়ি, বাঘা মাসজিদ, নাটোর রাজবাড়ি, উত্তরা গণভবন ইত্যাদি স্থাপন পরিদর্শন। ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন ভারতীয় অতিথিবৃন্দ।

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া কালচারাল মিট, রাজশাহী প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামাণিক। সঞ্চালনা করেন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার। এছাড়া ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন অনেক নেতা।